বিয়ে।এই একটা শব্দ জীবনের অনেক কিছুকে বদলে দেয়। বদলে দেয় মানুষকে। আনন্দ, দুঃখ, রাগ, অভিমান এই সব কিছু নিয়ে এটা একটা প্যাকেজ বলা যায়। তারকা দের জীবনেও কি তাই? এই প্রশ্নটা অনেকের মনেই থাকে। একবার শুনবেন নাকি তাদের কথা? যাদের ছাড়া আমাদের বৈঠকি আড্ডা টা ঠিক জমে না। যাদের কষ্টে আমারাও কাদি। আবার তাদের খুশিতে দূর থেকে খুশিও হই। চলুন তাদের মুখ থেকে শুনি বিয়ের পরবর্তী জীবন কাটছে কেমন। তাদের স্পেশাল মুহূর্ত গুলোকে আরও একবার সামনে নিয়ে আসি।
ঋষি কৌশিক, দেবযানী- এই নামটা মনে করিয়ে একজন রাগি, সিরিয়াস সাংবাদিক আবার কখনও পুলিশ। এই ঋষি কৌশিক আজও মনে করেন তাদের হানিমুন এর সময় টা। বললেন,” আমাদের জীবনে সময়ের অভাবটাই বেশি। আজও হানিমুনের একটা ঘটনা খুব মনে পড়ে। সেই প্রথম বার আমরা একসঙ্গে হেঁটেছিলাম জলের তলা দিয়ে। “আন্ডারসি ওয়াক”। পাটায়ার সেই সময় গুলো আজও পরিস্কার আমার কাছে।
দেবলিনা,তথাগত- হাসি, খুশি জুটি। তবে দেবলিনা কি একটু রাগি? না, একদম না। শুটিং এর কাজে বাইরে তিনি। তাও সব কিছুর থেকে একটু সময় বের করে বললেন,” বিয়ের পর আমাদের স্পেশাল মোমেন্ট বললে সবার আগে মনে পড়ে আমাদের হানিমুন। সেই প্রথম স্কুবা ড্রাইভ করি। সাঁতারও জানতাম না। একসঙ্গে জল, আমি আর তথাগত। ” জীবনে এর থেকে বেশি কি আর চাওয়ার থাকতে পারে।
রাজা, মধুবনি- খুব বেশি দিন হয়নি। বিয়ের গন্ধটা এখনও বেশ পাওয়া যায়। রাজার জীবনে মধুবনির কোন ঘটনাটা এখনও মনে পড়ে? “আর সকলের মতই আমাদের বিয়েটা হয়। বিয়ে ব্যাপারটাই পুরো স্পেশাল। তাও আজও আমি ভুলতে পারিনি একটা ঘটনা। সাধারনত ছেলেরা মেয়েদের ভালবাসার কথা জানায়। কিন্তু আমার বেলায় হয়েছিল একদম উল্টো। একটা শো করে ফিরছিলাম দুজন। রাত হয়ে গেছে। খিদেও পেয়েছে। রুটি আর তরকা খাচ্ছি। এমন সময় মধুবনি প্রপোজ করে। প্রকৃতি এর মাঝে ভালবাসা পাওয়া। এই ঘটনা টা আমার জীবনে সবসময় স্পেশাল।”
পায়েল, দ্বৈপায়ন- পায়েল নামটা বললেই যেটা আগে মাথায় আসে, তা হল দুর্গা। সেই পায়েল এর কাছে বিয়ে বললেই সবার আগে মনে আসে শাশুড়ি মায়ের একটা ঘটনা। ” সাধারনত মেয়েরা শ্বশুর বাড়িতে পা রাখে আলতা জলে পা দিয়ে। আমার সময়ে একটু আলাদা হয়েছে ঘটনাটা। মা চন্দন জল দিয়েছিলেন আমার জন্য। আর সকলের থেকে আমি যে আলাদা তা উনি প্রথম বোঝান। মা চেয়েছিলেন আমি আসার পর সুন্দর গন্ধ ছেয়ে যাক সারা বাড়িতে। আজও মনে পড়ে ওই সময়টা।”
তথাগত, দেবলিনা- হাসলে ঠোঁটের পাশে হালকা ভাজ পরে এই তারকার। মিষ্টি হাসি। মেয়েরা বেশ পাগল তথাগত এর জন্য। আর তথাগত? কোন ঘটনা তে আজও হারিয়ে যায়? ” বিয়ের কিছু দিন আগে আমরা ঘুরতে যাই। গিয়েছিলাম গোপালপুর এ। বর্ষাকাল। মনে আছে আমরা যেখানে ছিলাম। তাদের নিজস্ব পুল ছিল। প্রায় সারা রাত জলের মধ্যে দুজন মিলে গল্প করেছিলাম। রাত হয়েগিয়েছে লাইট অফ। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ এর ঝলকানি। আর তাতেই হঠাৎ করে দুজনের চোখ কথা বলে উঠছে। সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের ঢেউ আর গাছের পাতা গুলো জানান দিয়ে যাচ্ছে যে তারাও জাগছে আমাদের সঙ্গেই। এই সময়টা আমার জীবনে সব থেকে আলাদা।”
”
সৌরভ, মধুবনি- এই কিছু দিন আগে ফেসবুক জুড়ে বিয়ের ছবিতে ভরে গিয়েছিল। সেই টাটকা স্মৃতিতে ভর দিয়ে ঘুরে আসা যাক সেই দিন গুলোতে। সৌরভ বললেন, ” আমার জীবনে বিয়ে বললেই একটা কথা মনে পরে, আমার রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। বিয়ের দিন মধুবনি হাজির। আমি ও পৌঁছই কিন্তু সময়ের থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর। বুঝতেই পারছেন এরপর কি হতে পারে! কি করছিলাম? বন্ধুদের সঙ্গে ব্যাচেলার পার্টি। সেই পোশাক এই গিয়েছিলাম বিয়ে করতে। কোনদিন পারবো না এই কথাটা ভুলতে।”
”
Facebook Comments