ডিভিশন বেঞ্চে ফের ধাক্কা খেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে রক্ষাকবচ দিল না হাইকোর্ট। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আবেদন খারিজ করলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ফলে ফের সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হবে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান তণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
উল্লেখ্য, ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত সকল মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে, যেখানে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপরেই বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেন। বিচারপতি বলেছিলেন, ‘হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত্, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই।’ বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় এও বলেছিলেন, ‘নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত্ না হলে আশা করব, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল সরিয়ে দেবেন।’
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সময়ের আগেই সেদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজাম প্যালেসে পৌঁছান। দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘন্টা ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়েছে বললেও কিছু প্রশ্নের উত্তর ‘মনে নেই’ বলে এড়িয়ে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরপর বৃহস্পতিবার ফের সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন পার্থ। কিন্তু সেই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন প্রধান বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন। ঠিক হয়, শুক্রবার সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।
পার্থর আবেদন, ‘হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত্, যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সিবিআই।’ ‘নিজে থেকে পদত্যাগ করা উচিত্ না হলে আশা করব, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল সরিয়ে দেবেন।’ বিচারপতির নির্দেশ নামার এই অংশ খারিজ করা হোক।
এদিন শুনানির সময় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রশ্ন নেই। তাকে গ্ৰেফতার করা হবে কিনা তা সিবিআই ঠিক করবে। বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ রাজ্য বা তদন্তকারীদের কাছে বাধ্যতামূলক হবে না।’ অর্থাত্ বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায় তার পদত্যাগ ও গ্রেফতারি নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেই দুটি বিষয় সিবিআই এবং মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ওপর ছেড়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
Facebook Comments