শনিবার সকাল ৭টায় পশ্চিমবঙ্গের ৭৩,৮৮৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৬৪,৮৭৪টিতে ভোটগ্রহণ চলছে। বাকি ৯ হাজার ১৩টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সর্বোচ্চ ৮,৮৭৪ প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের। সকাল ১১টা পর্যন্ত 22.6% ভোটার।
কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরেও বিভিন্ন এলাকা থেকে সহিংসতার খবর আসছে। সকালে ভোট শুরু হতে না হতেই কোচবিহারের সিতাইয়ের বড়ভিটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ভাঙচুর ও ব্যালট পেপারে আগুন দেওয়া হয়। অনেক জায়গায় ব্যালট বাক্স নিজেই তুলে নেওয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় নয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন তৃণমূল সদস্য, একজন বিজেপি, বাম ও কংগ্রেসের একজন করে কর্মী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। 9 জুন থেকে সহিংস ঘটনায় মৃতের সংখ্যা 27-এ দাঁড়িয়েছে।
সহিংস সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত দুটি ভোট কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিটিআই।
বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই। আর রাজ্যজুড়ে এসব সহিংসতার জন্য একে-অপরকে দোষারোপ করছে দলদুটি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙড়ে চকমরিচায় দুই আইএসএফ কর্মীকে গুলি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এ ছাড়া কোচবিহারের ফলিমারি গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটেরহাট ৪/৩৮ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোচবিহারের সিতাইয়ে নির্বাচনের বুথে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ব্যালট প্যাপারও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
মালদহের মানিকচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ তোলা হয়েছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের চাপড়ায় তৃণমূলের এক কর্মীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।
পিটিআই জানায়, ৮ই জুন ভোট ঘোষণার দিন থেকেই থেম থেমে ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া যায় বাংলায়। এসব সহিংসতায় এক কিশোরসহ ১৫ জন মারা গেছে বলছে পিটিআই।
Facebook Comments