অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কীরণ কুমার রেড্ডি দলীয় নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধ থেকে গত মাসে কংগ্রেস ছাড়ার পর এবার ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছেন।
কীরণ ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা আলাদা হয়ে যাওয়ার আগে অবিভক্ত অন্ধ্রের শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। রাজ্য দুই টুকরা হয়ে যাওয়ার পর এর প্রতিবাদে কংগ্রেস থেকে বের হয়ে ‘জয় সাম্যকেন্ধ্র পার্টি’ নামে আলাদা দলও খুলেছিলেন তিনি, কিন্তু ভোটে সুবিধা করতে না পেরে কয়েক বছর পর আবার পুরনো দলে ফিরেছিলেন।
শুক্রবার তার বিজেপিতে যোগ কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলার পাশাপাশি অন্ধ্রের রাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ হতে পারে বলে অনেকে অনুমান করছেন। আগামী বছর রাজ্যটিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা; এখন পর্যন্ত সেখানে ক্ষমতাসীন ওয়াইএসআর কংগ্রেস আর তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তেলেগু দেশম পার্টির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা যাচ্ছে।
কীরণ রেড্ডির যোগদান রায়ালাসীমা অঞ্চলে বিজেপির উপস্থিতিকে শক্তিশালী করবে; কীরণ এখানেই বেড়ে উঠেছেন, এখানে তার প্রভাবও ব্যাপক বলেই ধরে নেওয়া হয়। রাজ্যে তৃতীয় শক্তিশালী দল হয়ে ওঠার চেষ্টা করা বিজেপি তাকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ধরে প্রচারে নামবে বলে মনে হচ্ছে। শুক্রবার নয়া দিল্লির দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির ঊর্ধ্বতন নেতারা কীরণকে স্বাগত জানান।
কীরণ রেড্ডি বলেন, উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সমর্থন জানাতেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
নিজের পরিবারের ছয় দশকের কংগ্রেস সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করে ৬২ বছর বয়সী এ রাজনীতিক বলেন, “কংগ্রেস ছাড়বো কখনো ভাবিইনি।”
কংগ্রেসের এখনকার নেতৃত্ব ‘জনরায় মেনে নিতে ও ভুল স্বীকার করতে অক্ষম’ মন্তব্য করে তাদের কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।
“তারা (কংগ্রেস নেতারা) ভাবে তারাই ঠিক, ভারতের জনগণসহ বাকি সবাই ভুল। “তারা নিয়ন্ত্রণ করার কর্তৃত্ব চায়, কিন্তু পরিশ্রম বা দায়িত্ব নিতে চায় না। সব রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষয়ে যাচ্ছে, অথচ দলের শীর্ষ নেতারা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না, বা তাদের মতও নিচ্ছেন না,” বলেছেন চারবারের সাবেক বিধায়ক।
তিনি মোদী নেতৃত্বাধীন বিজেপি নেতাদের ‘কঠোর পরিশ্রম ও দেশের প্রতি অঙ্গীকারের’ ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “তাদের চিন্তাভাবনায় স্বচ্ছতা ও ধারাবাহিকতা রয়েছে। এই সরকারের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়া।”
Facebook Comments