রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা লালু প্রসাদ যাদবের জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাই কোর্ট। শনিবার জেল থেকে ছাড়া পেলেন লালু। লালু প্রসাদের যাদবের দুমকা ট্রেজারি মামলায় সাজা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঝাড়খণ্ড বা তত্কালীন বিহারের ট্রেজারি থেকে ৩.১৩ কোটি টাকা সরিয়েছিলেন তিনি। লালু প্রসাদ বর্তমান দিল্লির এইমস হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। স্বাস্থ্যের অবনতির জন্যে দিল্লির এইমসে চিকিত্সা নেয়া লালুর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা চলছিল। এর মধ্যে তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। এবার দুমকা ট্রেজারি মামলায় জামিনের পর বাড়ির দিকে পা বাড়ানোর ক্ষেত্রে আর বাধা নেই। হাসপাতাল থেকেই ফিরবেন বাড়ি। তবে লালু বাড়ি ফিরলেও লালু প্রসাদ যাদব দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না এখন। জানিয়েছেন বিচারপতি অপরেশ কুমার সিং। শুধু তাই নয়, লালু নিজের বাড়ির ঠিকানা এবং ফোন নম্বরও পাল্টাতে পারবেন না।লালুর দুর্নীতি তো কম নয়।
উল্লেখ্য যে, ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সালে লালু প্রসাদ যাদব বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পশুখাদ্য সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দুমকা ট্রেজারি কেস সেই আর্থিক তছরূপ মামলা। লালু প্রসাদ এর আগে অক্টোবর মাসে চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।
মোটামুটি এক হাজার কোটির পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চাঁইবাসা ট্রেজারির অর্থ তছরুপ মামলায় জামিন পান বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। তবে আদালত কিন্তু তাঁর বিহারে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রাখে। কারণ দুমকা ট্রেজারি মামলায় জামিন পাননি। সেই মামলায় অর্ধেক সাজা কাটানোর পর জামিন পান তিনি। লালু প্রসাদ যাদবের অবর্তমানে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতৃত্ব তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদব নেন। লালুর অনুপস্থিতিতে বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বীর নেতৃত্বে লড়েছিল RJD। শারীরিক অসুস্থতার জন্যে লালু দিল্লি এইমসে ভর্তি। তাঁর চিকিত্সা চলছে বলে জানা গিয়েছে। তবে পরিস্থিতি খুব বেশি ভালো নয়।
উল্লেখযোগ্য যে, ৭২ বছর বয়েসী লালু প্রসাদ রাঁচির রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক সমস্যা অনেক ছিল তাঁর। এইমসে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর জন্য বসে মেডিক্যাল বোর্ড।জানা যাচ্ছে, লালু প্রসাদ যাদবের নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে। “আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে আমরা ন্যায় পাবো। তিনি এইমসে ভর্তি আছেন। আমরা সুখী যে তিনি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু আমরা তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে চিন্তিত”। জামিনের পর লালুর পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বলেন।
Facebook Comments