হারা মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিচ্ছেন।” এভাবেই তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আজ আবারও তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি বলেও কটাক্ষ করেন। রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে হেস্টিংসে আজ সভা করে বিজেপি। সেই মঞ্চ থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী।
ভোটের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে একের পর এক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার হেস্টিংসে একেবারে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখালো রাজ্য বিজেপি। সেখানে জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ বাক্য পাঠের অনুষ্ঠানের বিরোধিতাও করেছেন।
হেস্টিংসের অনুষ্ঠানের শেষে নন্দীগ্রাম থেকে বিজয়ী শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র কটাক্ষ করেন। নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পুনর্গণনার দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন সেদিনই পুনর্গণনার আর্জি বাতিল করেছে। যে কোন দলই পুনর্গণনার দাবি তুলতে পারে। পুনর্গণনার পদ্ধতি মেনে যেকোন দলের প্রার্থী কোর্টে পিটিশন করতে পারেন। রিটার্নিং অফিসারের কিছু বলার থাকলে তিনি কমিশনকে বলবেন।”
এরপর তিনি মুখ্যমন্ত্রী ও নিজের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ” আমি ব্যক্তিগতভাবে সুখী, যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হেরেছেন। তিনি শপথ নিচ্ছেন। হারা মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নিচ্ছেন। ওটা যে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি তা আগেও বলেছি। আর কোন মুখ্যমন্ত্রী পাইনি তো। ” বিরোধী দলের হয়ে যারা আজ শপথবাক্য পাঠ বয়কট করলেন তাদের সবাইকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটছে সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,”নন্দীগ্রামের হারা তৃণমূল প্রার্থীর নিজেই হিংসা ছড়াচ্ছেন। খেলা হবে বলেছিল। মহিলাদের ওপর অত্যাচার করে আসল খেলা দেখাচ্ছে। সংখ্যা যে শেষ কথা বলে না, আমি বুদ্ধবাবুর সময়ও দেখেছিলাম, ছয় মাসের মধ্যে কি হয়েছিল।”
এদিকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলেছেন, “নন্দীগ্রামের ভোটাররা মমতাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, এই কারণেই নৈতিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার উচিত নয় তার, আমি যদি ত্রিপুরার নির্বাচনে হেরে যাই আমি মুখ্যমন্ত্রী হব না।”
Facebook Comments