দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্বের ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকেই জেলাগুলোতে অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। রাজপুর-সোনারপুরে বিরোধী এজেন্টদের মারধরের অভিযোগ। এছাড়া কাঁথিতে তৃণমূল পর্যায়ে হিংসার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এ ছাড়া অনেক জেলায় বিরোধী দলের এজেন্টদের বসতে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, রবিবার সকাল ৮টায় রাজ্যের জন্য দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত দফার ভোট শুরু হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১০৮টি পৌরসভার ২১৭১টি ওয়ার্ডে ভোট চলবে। জানা গেছে যে তৃণমূল ইতিমধ্যেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ১০৮টি পৌরসভার মধ্যে ২২৭৬টি পৌরসভায় ১০৩টি ওয়ার্ড জিতেছে। দুই ওয়ার্ডের প্রার্থীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সে কারণেই ১০৫টি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে না।
কমিশন সূত্রে খবর, দমদমের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই প্রার্থী এবং ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী মারা গেছেন। পাশাপাশি ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ২০টি জেলায় ডিআইজি পদমর্যাদার ১৭ জন পুলিশ আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত গুরুত্ব সহ, শনিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন উচ্চ পদে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের সাথে একটি বৈঠক করেছে। অভাব/অভিযোগ সহ যেকোনও সহায়তার জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সেই নম্বর- 22904040/41।
হাইকোর্টের নির্দেশে কমিশন ইতিমধ্যে পর্যবেক্ষক সংখ্যা বাড়িয়েছে। আদালত আগেই বলেছে, রবিবারের ভোটগ্রহণ চলাকালে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার দায় কমিশনের। এদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় রাজ্যের ২০টি জেলায় ১০৮টি পৌরসভা নির্বাচন করার পরিবর্তে, বিজেপি বল নিয়ে গেছে হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে।
তবে উভয় আদালতই বিজেপির আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ৪৪ হাজার পুলিশ সদস্যকে মাঠে নামিয়ে এদিন ১০৮টি পৌরসভা নির্বাচন করছে নির্বাচন কমিশন। তাই প্রতিটি বুথ পুলিশ কড়া পাহারা দিচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে যত বুথ থাকবে, সেখানে পুলিশি নিরাপত্তা তত বেশি হবে।
Facebook Comments