সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের পর তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে নেমেছেন ড্যামেজ কন্ট্রোলে। কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর জেলা ভিত্তিক সভা শুরু করেন তিনি। মুর্শিদাবাদের দলীয় নেতাদের সঙ্গে রবিবার প্রথম বৈঠক করেন মমতা। সাগরদীঘিতে হারের পর এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।
পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীর পরাজয়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কালীঘাটে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর জেলা সভা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের দলীয় নেতাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক হয়েছে। সাগরদিঘিতে হারের পর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। রবিবার অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ টিএমসির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাগরদিঘীতে চলছে টাকার খেলা।
সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন, যখন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস জয়ী হয়েছেন। এই জয়ের পর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তরফে বলা হচ্ছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর ক্ষুব্ধ মুসলিম সম্প্রদায়।
দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবকের হয়ে কাজ করছেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে জমি ইজারা বিতরণের কাজ 28 মার্চ থেকে শুরু হবে। গোটা জেলায় ষড়যন্ত্র চলছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে।” আমাদের জানিয়ে দেওয়া যাক যে সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশীষ ব্যানার্জি বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে প্রায় 23,000 ভোটে পরাজিত হয়েছেন। বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থীর জয় নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কের বেশির ভাগই এখন পর্যন্ত টিএমসি-র অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে, কিন্তু এই পরাজয় কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর মুসলিমরা ক্ষুব্ধ তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবার সাগরদীঘিতে অধীর চৌধুরী হুমকি দেন, ‘ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মুর্শিদাবাদ দখল করতে এসেছিল, আমরা তাদের তাড়িয়ে দিয়েছি। ভবানীপুর থেকে দিদি এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ দখল করতে। মুর্শিদাবাদ থেকে তৃণমূলকে সরিয়ে দেব। তৃণমূল এই জেলায় অনুপ্রবেশকারী।”
আর এদিনই কালীঘাটে বসে অধীরকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলার সংখ্যালঘুদের ভুল বোঝানো হচ্ছে এবং সে কারণে সংখ্যালঘুদের ভোট হারাতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন এবং জয়ী হয়েছেন বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। এই জয়ের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ক্ষুব্ধ, এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
সাগরদীঘি উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবাশীষ ব্যানার্জী, বাম-সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের কাছে প্রায় ২৩,০০০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থীর জয় নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বকে।
Facebook Comments