করোনা চিকিত্সার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানানোয় শনিবার শীর্ষ বাম নেতাদের পুলিশ আটক করে। তাঁদের হেনস্থা করার অভিযোগ করা হয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বাম নেতৃবৃন্দর ২৪ জনকে পুলিশ ধরে লালবাজারে নিয়ে যায়। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী, সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা মহম্মদ সেলিম, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়, সিপিআই এর রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দোপাধ্যায়, সিপিআইএমএল-এর বাসুদেব বসু, পিডিএফ-এর সমীর পুততুন্ড প্রমুখ মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে রেশন ব্যবস্থায় চূড়ান্ত দুর্নীতি হচ্ছে। এই দুর্নীতি-কালোবাজারি বন্ধ করে মানুষের কাছে ন্যায্য রেশন পৌঁছে দিতে হবে। গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে গরিবদের ঘরে চাল-ডাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে না। বরং রেশন সামগ্রি মজুত করে তৈরি করা হচ্ছে কৃত্রিম অভাব। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেও, রাজ্যর বিপিএল তালিকাভুক্ত ১০০% মানুষ রেশন পাচ্ছেন না। পাশাপাশি করোনা নিয়ে রাজ্য সরকার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান বাম নেতারা। তাঁরা বলেন, ‘মিথ্যা নয়, সঠিক তথ্য চাই’। সমস্ত তথ্য মানুষের সামনে আনতে হবে। রাজ্য জুড়ে ব়্যাপিড টেস্টিংয়ের দাবিতেও সোচ্চার হন বাম নেতৃত্ব। এদিন সামাজিক দূরত্ব মেনে প্রায় ৫০ জনকে নিয়ে মিছিল করে বামেরা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, সামাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিলেন আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন বিধি ভাঙার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী সহ বামফ্রন্ট নেতাদের। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁদের ব্যবহার করা গাড়ি।
https://www.facebook.com/220653521461677/posts/1398425310351153/
Facebook Comments