সকাল ১০টায় রাজ্য বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। বিজেপি ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে মনোনীত করেছে, অন্যদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা বিরোধী দলগুলির প্রার্থী। রবিবার শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপি তাদের বিধায়কদের রেখেছিল।
বিরোধী শিবিরের বেশিরভাগ বিধায়ক প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ভোটদানের সমস্ত নিয়ম কীভাবে অনুসরণ করতে হবে সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। এই বিধায়করা আজ,সোমবার সকালে একটি বাসে করে বিধানসভায় পৌঁছেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়করাও বিধানসভায় পৌঁছচ্ছেন। তবে ভোট নিয়ে ক্রস ভোটিং নিয়ে শঙ্কিত দুই দলই।
ক্রস ভোটিং মানে এক দলের প্রতিনিধি অন্য দলের প্রার্থীকে ভোট দেয়। যেহেতু গোপন ব্যালটে ভোট হবে তাই কার ভোট কাকে দেওয়া হচ্ছে তাও জানা সম্ভব নয় এবং এ নির্বাচনে হুইপ জারি করারও কোনও বিধান নেই।
এবারের নির্বাচনে ক্রস ভোটিং নিয়ে আশাবাদী তৃণমূল শিবির। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবী, ২০ জন বিজেপি বিধায়কের ক্রস ভোট তাদের পক্ষে আসবে। সূত্রের দাবী, এই তালিকায় ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছেলে পবন সিংয়ের নামও রয়েছে। বিধায়ক ছাড়াও শাসক শিবিরও তিনজন সাংসদের ক্রস ভোটের আশা করছে। সূত্রের খবর, ক্রস ভোটিং ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপিও পুরোপুরি সচেতন।সবাইকে ওই হোটেলে একসঙ্গে রাখা হয়ে
আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী বিধায়কের সংখ্যা ২১৬। এই ২১৬ জনের একজন বাদে, সবাই বঙ্গ বিধানসভায় ভোট দেবেন বলে জানা গিয়েছে। বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক রফিকুল ইসলাম মণ্ডল হজে যাওয়ার কারণে ভোট দেবেন না। তাঁর কাছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তিনি রফিকুলকে ভোট তালিকার বাইরে রাখেন। সূত্রের খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের এজেন্ট হবেন তাপস রায় ও পার্থ ভৌমিক। বরানগরের প্রাক্তন বিধায়ক এবং বিধানসভায় তৃণমূলের ডেপুটি চিফ হুইপ। দ্বিতীয় নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক। একই সময়ে, বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা বর্তমানে ৭০ জন। জয়ের পর পাঁচজন বিধায়ক তৃণমূলে চলে গেছেন। সকাল থেকেই ভোটের জন্য বেঙ্গল অ্যাসেম্বলিতে বিধায়কদের লম্বা লাইন।
Facebook Comments