নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর রাজ্যজুড়ে বিস্তর হিংসা-হানাহানির ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ জায়গাতেই অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকে। জায়গায় জায়গায় ঘটেছে ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনা। বিজেপি কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে, কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও বিজেপি কর্মী সমর্থকদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও এক বিজেপি মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণ করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন জায়গায় নানান হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ বাঁচাতে বিজেপি কর্মীরা পাশের রাজ্যে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন । এছাড়াও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বিজেপির ৬ জন কর্মীকে হত্যার। রাজ্যজুড়ে হিংসার প্রতিবাদে বিজেপি গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন, দেশজুড়ে ধর্না কর্মসূচি পালন করেছে।
বাংলার মাটিতে এসেছেন বিজেপি নেতা জে পি নাড্ডা । গতকাল নিহত বিজেপি সমর্থকদের পরিবারের সাথে দেখা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তিনি নিহত বিজেপি সমর্থকদের পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বলেছেন যে সর্বসম্মতভাবে তিনি তাদের পাশে থাকবেন। কর্মীদের ভেঙে পড়া মনোবলকে চাঙ্গা করার জন্য তিনি বলেছেন,”মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন।
আমরাও জনতার এই আদেশ মাথা পেতে গ্রহণ করেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জিতলেও বাংলায় হেরে গিয়েছে মানবতা। মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যে খুন হয়ে গিয়েছে ১৪ জন বিজেপি কর্মী। বাংলা ছেড়ে মানুষজন আশ্রয় নিচ্ছেন অসমে। বিশেষ করে গোসাবা, পূর্ব ক্যানিং, সন্দেশখালির গ্রাম গুলিতে ব্যাপকভাবে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীদের মুখ এখন বন্ধ রয়েছে কেন? এর শেষ কোথায় আমরা জানি না। তবে আমরা বলছি এর শেষ দেখে ছাড়ব।”তবে তৃণমূল জানিয়েছে যে নাড্ডার এই অভিযোগকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
Facebook Comments