বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে এক শিখ ব্যক্তির পাগড়ী মেরে খুলে দেওয়া নিয়ে প্রবল বিতর্কের মুখে পড়েছে কলকাতা পুলিশ। ওই ব্যক্তির নাম বলবিন্দর সিং, তিনি এক বিজেপি নেতার দেহরক্ষী হিসাবে এসেছিলেন।তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এই মর্মে তাকে প্রবল প্রহার করে কলকাতা পুলিশ। এই প্রহারের সময়ই তার মাথার পাগড়ী খুলে যায় যা একজন শিখের কাছে হত্যার থেকেও বড় অপমান। কারগিল যুদ্ধে লড়াই করা এই প্রাক্তন সেনার এহেন অপমান স্বাভাবিকভাবেই অনেকেই বরদাস্ত করতে পারছেন না।এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানিয়ে টুইট করেছিলেন ক্রিকেট তারকা হরভজন সিং।
পাগড়ি খোলা নিয়ে বিতর্কে এ বার ময়দানে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ। ওই কাণ্ডে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি। একই সুর শোনা গিয়েছে শিরোমণি অকালি দল (এসএডি)-এর প্রধান সুখবীর সিংহ বাদলের গলাতেও।
বিতর্কে ইতি টানতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার তত্ত্ব অবশ্য জোরাল ভাবেই খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ক্রিকেটার হরভজন সিংয়ের একটি টুইটের পর কলকাতার রাস্তায় শিখ ধর্মাবলম্বী বিজেপি কর্মীর পাগড়ি খোলা নিয়ে হঠাতই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। ক্রিকেটারের অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা জোর করে শিখ সম্প্রদায়ের ওই বিজেপি সমর্থকের পাগড়ি খুলে দিয়েছে।
সেই বলবিন্দর সিংকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। এক সংবাদমাধ্যমের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বলবিন্দর সিংকে পাকড়াও করতে গিয়ে তাঁকে মারধর করছে পুলিশ।যদিও রাজ্য পুলিশ পালটা এক টুইটে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাঁদের দাবি,’বিজেপির বিক্ষোভে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ওঁর পাগড়ি ধস্তাধস্তির সময় এমনিই খুলে পড়েছে। আমাদের আধিকারিক কখনওই পাগড়ি খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেননি। কোনও সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করাটা আমাদের অভিপ্রায় নয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সব ধর্মকে সম্মান করে। আমাদের আধিকারিক গ্রেপ্তারির আগে বারবার ওই ব্যক্তিকে পাগড়িটি ঠিক করে নিতে অনুরোধও করেছিলেন। আমরা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
Facebook Comments