রাজ্য বিধানসভার পিএসি (পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি)-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ইস্তফাপত্র গ্ৰহণও করেছেন ইতিমধ্যেই। সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই একাজ করেছেন মুকুল।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়।
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে জয়ের হাসিও হেসেছেন তিনি। কিন্তু হঠাত্ ছন্দপতন! রাজ্যে তৃতীয় বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতেই ফের তৃণমূলে ঘরওয়াপাসি হয় মুকুলের। যদিও বিধায়ক পদটি তিনি ছাড়েননি। এরই মধ্যে বিধানসভায় পিএসি-র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মুকুল রায়।
জটিলতা সৃষ্টি হয় ঠিক এখান থেকেই। নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভা বা লোকসভায় পিএসি-র চেয়ারম্যান পদে বিরোধী দলের কোনও সদস্যই থাকতে পারেন। তাই মুকুল এই পদ পেতেই গর্জে ওঠে বিজেপি। তাঁর বিধায়ক ও পিএসি-র চেয়ারম্যান পদ খারিজের দাবীতে হাইকোর্ট এমনকি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পদ্ম শিবির। বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অভিযোগ করেন এই বিষয়ে। বিধানসভায় দীর্ঘ শুনানি শেষে স্পিকার সাফ জানান, মুকুল আছেন বিজেপিতেই।
এদিকে এই সব টানাপোড়েনের মাঝেই পিএসি চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল। সোমবার মেইল মারফত তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠান। সূত্রের খবর, তিনি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে মেইল করেছেন, তাতে লেখা- শারীরিক অসুস্থতার জন্য পদত্যাগ করছেন।
এদিকে মুকুলের এই আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। রাজ্যের শাসক দলকে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছে বাম-বিজেপি। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে থাকেন বিরোধীদ লের বিধায়ক। কিন্তু শাসকদল জোর করে এই পদ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, সে ক্ষেত্রে হার হয়েছে, সেটা মেনে নিতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।’
Facebook Comments