নিউজিল্যান্ডের কাছে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলেন বিরাট কোহলি, সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবও দিলেন। তবে মনের মধ্যে যে কষ্ট আর ক্ষোভ ছিল, সেটি বেরিয়ে আসতে সময় লাগল না। হঠাৎ এক সাংবাদিকের প্রশ্ন শুনে রীতিমত খেপে গেলেন কোহলি। কড়া ভাষায় দিলেন জবাব। বোঝাই যাচ্ছিল, মেজাজ ধরে রাখা আর সম্ভব হচ্ছিল না ভারতীয় অধিনায়কের। পুরো সংবাদ সম্মেলনেই কড়া কড়া সব কথা বললেন। ওয়েলিংটনে প্রথম টেস্টে সোয়া তিনদিনের মধ্যে ১০ উইকেটে বড় হারের লজ্জা পেয়েছিল ভারত। এবার তারা হারল ৭ উইকেটে, তবে আরও কম সময়ে। ক্রাইস্টচার্চে আড়াই দিনে হেরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারিরা। টেস্টের এক নম্বর দলের এ কি হাল!
অধিনায়ক কোহলি ব্যাট হাতেও ছিলেন ব্যর্থ। চার ইনিংসে তার রান-২, ১৯ আর ৩, ১৪। হারিয়েছেন টেস্ট ব্যাটসম্যান র্যাংকিংয়ের এক নম্বর স্থানটি। মেজাজ ঠান্ডা রাখা তো কঠিনই। সব দিক দিয়েই ব্যর্থ কোহলি, ব্যর্থ তার দল। কোহলি স্বীকার করলেন, ‘এই সিরিজে আমরা পুরোপুরি নাকাল হয়েছি। অবশ্যই দল হিসেবে যেমন খেলা দরকার, তেমন ক্রিকেট আমরা খেলতে পারিনি। আমরা যথেষ্ট ইতিবাচক ছিলাম না, যথেষ্ট সাহসও দেখাতে পারিনি।’ ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে কেন উইলিয়ামসন আর টম লাথাম আউট হওয়ার পর অতি আগ্রাসী উদযাপন করতে দেখা যায় কোহলিকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিও। যেখানে দেখা যায়, ভারতীয় অধিনায়ক একবার স্বাগতিক দর্শকদের উদ্দেশ্যেও কিছু বলছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বসেন-দলের ভালোর জন্য কোহলির অতি আগ্রাসী মনোভাবের কিছুটা পরিবর্তন আনা জরুরী কি না? এমন প্রশ্নে রীতিমত খেপে যান ভারতীয় অধিনায়ক। সাংবাদিককে রাগত স্বরে কোহলি উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি মনে করেন? আপনিই উত্তরটা দিন না! আপনি আগে বুঝুন কি হয়েছে, তারপর ভালো করে প্রশ্ন করুন। যদি বিতর্ক তৈরি করতে চান, তবে এটা সেই জায়গা নয়। আমি তো ম্যাচ রেফারি সঙ্গে এটা নিয়ে কথা বলেছি। আপনি এখানে আধা আধা জ্ঞান নিয়ে আসতে পারেন না। ধন্যবাদ।’
Facebook Comments