দ্রুত মহামারিতে রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন শতাধিক লোকের প্রাণহানি ঘটছে। রবিবার (১ মার্চ) সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২,৯৯৪ জনে পৌঁছেছে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) ডব্লিউএইচও। চীনে নতুন করে চার শতাধিক লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭,৬৫৯ ছাড়িয়েছে। তবে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ৪০ দেশ মিলিয়ে এ সংখ্যা আরও বেশি। সূত্র ওয়ার্ল্ড মিটার ইনফো করোনা ভাইরাস।
এ দিকে ব্রিটিশ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ঝুঁকিতে আছে আরও অনেক দেশ। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই সতর্কতা জারি করা হয়। বর্তমানে থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইসরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ভারতসহ বেশকিছু দেশে অজ্ঞাত এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে। তাছাড়া আতঙ্কে রয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানও। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রেও ভাইরাসের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। আক্রান্তদের সবাই সম্প্রতি চীনে ভ্রমণ করেছেন কিংবা সেখানে বসবাস করেন। এমনকি সিঙ্গাপুরেও কয়েকজন বাংলাদেশির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা সকলেই বর্তমানে দেশটিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানেও ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসটি। দেশটির উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরাজ হারিরচির শরীরেও পাওয়া গেছে মহামারি ভাইরাসের উপস্থিতি। তেহরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা মিডল ইস্ট আইকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এ ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। এ ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
Facebook Comments