ইউরোপের দেশ পর্তুগালে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানল। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে এরই মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে প্রায় কয়েক শতাধিক দমকলকর্মী। যদিও অভিযানে অংশ নিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭ কর্মীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে ইতোমধ্যে বেশিরভাগ গ্রামবাসী নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বি বিসি নিউজে’র খবরে বলা হয়, কাস্টেলো ব্রাঙ্কো অঞ্চলের মোট তিনটি পাহাড়ি বনে এরই মধ্যে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার ও উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়েছে।
রবিবার (২১ জুলাই) দমকল বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা মোট তিনটির মধ্যে দুটি দাবানল এরই মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে সম্ভব হয়েছেন। বুলডোজারসহ প্রায় কয়েক’শ যানবাহন এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজে নামানো হয়েছে। যে কারণে মোতায়েন করা হয়েছে পর্যাপ্ত সেনা সদস্যদেরও।’
অভিযানে অংশ নেওয়া এ কর্মকর্তারা আরও বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সব রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দাবানলের কারণে বেশ কয়েকটি সড়ককে ইতোমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দগ্ধ এক ব্যক্তিকে হেলিকপ্টারে করে রাজধানী লিসবনে নেওয়া হয়েছে।’
এ দিকে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, খুব শিগগিরই কাস্টেলো ব্রাঙ্কো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছাড়িয়ে যেতে পারে। যার অংশ হিসেবে মধ্য ও দক্ষিণ পর্তুগালের মোট ছয়টি অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের সর্বোচ্চ সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
অপর দিকে বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ ইউরোপের এই দেশটিতে প্রতি বছর দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। মূলত উষ্ণ আবহাওয়ার ফলে আটলান্টিকে শক্তিশালী বাতাস বইতে থাকে; যে কারণে প্রায়ই অঞ্চলটিতে দাবানলের সৃষ্টি হয়। এর আগে গত বছর দেশটিতে দাবানলে শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়েছিল। তাছাড়া সর্বশেষ দাবানলটি নিয়ন্ত্রণে আনতে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ হিসেবে ‘ছাগল বাহিনী’ নিয়োগ দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। যেখানে ৩৭০টি ছাগল দিয়ে বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments