জাতিসংঘের সাধারণ সভায় পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতিসংঘের জাতিসংঘের সভায় দাঁড়িয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি কোনও হুমকি দিচ্ছি না। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলকে ভাবতে হবে তাঁরা ১৩০ কোটির বাজারকে তোষণ করবেন, না নিরীহ নিরপরাধ নাগরিকদের পাশে থাকবেন। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশ যদি যুদ্ধ করে তাঁর প্রভাব কিন্তু গোটা বিশ্বেই পড়বে।
জাতিসংঘের মঞ্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তাঁর বক্তৃতায় একবারও পাকিস্তান শব্দটি উল্লেখ করেননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অবশ্য সে পথে হাঁটেননি। জাতিসংঘের মঞ্চে ভারতের প্রতি বিদ্বেষ এবং ঘৃণা উগরে দিলেন তিনি। ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আরএসএসকে।
পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি ইমরান আগেও দিয়েছিলেন। কিন্তু, জাতিসংঘের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি ফের এই হুঁশিয়ারি দেবেন তা অনেকেই ভাবেননি। তিনি বলেছেন, মোদি আজীবন আরএসএসের সদস্য। আরএসএস হিটলার-মুসোলিনির আদর্শে অনুপ্রাণিত। সংঘ ভারত থেকে মুসলিমদের মুছে ফেলার ‘জাতি শোধন’ তত্ত্বে বিশ্বাসী। এই ঘৃণার মানসিকতাই গান্ধিকে খুন করেছিল। এই আদর্শেই ২০০২ সালে নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাটে মুসলিমদের নিয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়েছিল। প্রাক্তন কংগ্রেসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, আরএসএস ক্যাম্পে জঙ্গি তৈরি হয়। এই জঙ্গিরাই ২০০০ মুসলিমকে কেটে ফেলেছিল। ঘরছাড়া হয় দেড় লক্ষ মুসলিম।
কাশ্মীরে কারফিউ নিয়েও সরব হন ইমরান খান। তাঁর হুঁশিয়ারি, কারফিউ তুললে কাশ্মীরে রক্তবন্যা বইবে।
বালাকোট এয়ার স্ট্রাইক প্রসঙ্গেও এদিন সরব হন ইমরান। এতদিন পাক সেনা এই এয়ার স্ট্রাইকের কথা অস্বীকার করলেও, এদিন জাতিসংঘের মঞ্চে হামলার কথা স্বীকার করে নেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দশটা গাছ ছাড়া কিছুরই ক্ষতি হয়নি ভারতের হামলায়। ভারতের এক পাইলট ধরা পড়েছিলেন। আমরা তাঁকে মুক্তি দিয়েছি। অথচ এটাকে শান্তি প্রক্রিয়া না ভেবে ১৫০ জন জঙ্গি মারা গেছে বলে ভোটে মিথ্যা প্রচার চালিয়েছেন মোদি।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments