ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতির মধ্যেই দুটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনলেও এর কারণ স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেননি। এই বিস্ফোরণের বিষয়ে রাশিয়াও কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কিইভে রাশিয়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
তারা জানিয়েছেন, রকেট দুটির বিস্ফোরণে কিইভের শেভচেঙ্কো এলাকা প্রকম্পিত হয়েছে এবং একটি রকেট ২৫তলা একটি আবাসিক ভবনের নিচের তলাগুলোতে আঘাত হেনেছে, এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেইনের রাজধানী দখলে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়া এপ্রিলের প্রথমদিকে কিইভের কাছ থেকে নিজেদের বাহিনীগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্রদের শীর্ষ কর্মকর্তারা শহরটি সফর করে গেছেন।
কিইভে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনে ইউক্রেইনীয় উদ্ধারকারীদের তৎপরতা। এই বিস্ফোরণের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে গুতেরেস পর্তুগিজ গণমাধ্যম আরটিপি-কে বলেন, “কিইভে হামলা ঘটনা ঘটেছে, এতে আমি মর্মাহত হয়েছি, এটি এ কারণে নয় যে আমি এখানে আছি কিন্তু কিইভ ইউক্রেইনীয় ও রুশদের কাছে একইভাবে একটি পবিত্র শহর।”
জেলেনস্কি বলেন, “এই বিস্ফোরণ প্রমাণ করেছে আমাদের সতর্ক প্রহরা বাদ দেওয়া যাবে না। যুদ্ধ শেষে হয়ে গেছে এটি যেন আমরা না ভাবি।” জেলেনস্কির সঙ্গে গুতেরেসের আলোচনায় মারিউপোলের ইস্পাত কারখানা থেকে আটকা পড়া বেসামরিক ও আহত সেনাদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিই প্রধান্য পেয়েছে।
মঙ্গলবার মস্কোতে গুতেরেসের সঙ্গে আলোচনায় পুতিন কারখানাটি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ও রেড ক্রসকে যুক্ত করার বিষয়ে নীতিগভাবে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তাদের ধারণা, ইস্পাত কারখানাটিতে আটকা পড়ে থাকাদের ধরতে চায় রাশিয়া; তবে তাদের এ ধরনের কোনো অভিসন্ধি নেই বলে জানিয়েছে মস্কো। পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা, মারিউপোল এবং ইউ
Facebook Comments