করোনাভাইরাসের মতো একটি বৈশ্বিক মহামারিকে হারানোর জন্য দেশগুলোর সহজে শুধু লকডাউন করাটাই যথেষ্ট নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা বিষয়ক ঊর্ধ্বতন জরুরী অবস্থা বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান। আজ রোববার এ কথা বলেছেন। তার মতে, ভাইরাসটি প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য নিয়ে নানান পদক্ষেপ নেওয়াটাই সবচেয়ে জরুরি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে মাইক রায়ান বলেন, ‘যারা অসুস্থ তাদের খূঁজে বের করে সেখানে মনযোগ দেওয়াটাই প্রকৃত প্রয়োজন। যারা ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন তাদের আইসোলেট করতে হবে। এছাড়া তারা যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরও খুঁজে বের করে আইসোলেট করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমরা এখনই জনস্বাস্থ্যের জন্য শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ না করি, তাহলে লকডাউন নিয়ে এখনই বিপদ রয়েছে। যখন মানুষের চলাচলের ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ সীমাবদ্ধ এবং লকডাউন প্রত্যাহার করা হবে, তখন যে বিপদটি হবে তা হলো, রোগটি আবার নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।’
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনকে অনুসরণ করে ইউরোপের অনেক দেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার দেশগুলো ভুতূড়ে সব বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং করছে। বেশিরভাগ দেশে কর্মীকে ঘরে বসে কাজ করতে হচ্ছে। স্কুল, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁ, বার এবং অন্যান্য জনসমাগমস্থলগুলো। মাইক রায়ান বলেন, চীন, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ, যা প্রতিটি সম্ভাব্য সন্দেহভাজনকে পরীক্ষা করার জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সীমাবদ্ধতা তৈরি করেছিল, ইউরোপের জন্য তা একটি মডেল সরবরাহ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য বলছে, এসব এশিয়াকে মহামারিটির নতুন কেন্দ্রস্থল হিসেবে প্রতিস্থাপন করেছে। ‘আমরা যখন ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধ করতে পারবো, তারপর আমাদের ভাইরাসটি নিয়ে নানা কাজ করতে হবে। তখনই আমরা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইটা চালিয়ে যেতে পারবো। প্রতিষেধক হয়তো একদিন তৈরি হবে কিন্তু আমাদের এখনই যা করা দরকার তাই করা উচিত।’
Facebook Comments