পাকিস্তানে চলমান রাজনৈতিক উত্তাপ, বিক্ষোভ, ধরপাকড়, অনেক নেতা ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এ ধরনের পরিস্থিতি পাকিস্তানকে পূর্ব পাকিস্তানের মতো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে। গত শনিবার (১৩ মে) জামান পার্কে নিজ বাসা থেকে ভার্চ্যুয়াল ভাষণে অংশ নিয়ে এ আশঙ্কার কথা বলেন ইমরান খান।
তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান বলেন, ইমরান রিয়াজ, আফতাব ইকবালসহ আরও অনেক সাংবাদিককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। সাংবাদিক ইমরান রিয়াজ খানকে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে নির্যাতনের আশঙ্কা করছি। কারণ, তিনি (ইমরান রিয়াজ) আমদানি করা এই সরকারের কাছে মাথা নত করেননি।
পিটিআই প্রধান বলেন, আমি জানি, কারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায় এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সুবিধা নিতে চায়। এই স্বার্থবাদীরা পিটিআইয়ের সমস্ত সিনিয়র নেতাদের পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মীকে কারাগারের রেখে সুবিধা আদায় করছিল।
সেনাবাহিনীর দপ্তরে আক্রমণের ঘটনার জন্য সেনাপ্রধানকেই দায়ী করেন ইমরান। বলেন, ‘সেনাপ্রধানের কার্যক্রম আমাদের সেনাবাহিনীর বদনাম করেছে। তার জন্যই সেনাবাহিনীর দুর্নাম হয়েছে, আমার জন্য নয়। ’
মি. খান একটি প্রশ্নও উত্থাপন করে এবং তদন্তের দাবি করেন যে, কেন শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের কর্পস কমান্ডার হাউসের দিকে মিছিল করতে এবং শেষ পর্যন্ত কোনও প্রতিরোধ ছাড়াই প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছিল। কেন বাধা দেওয়ার জন্য কোনো পুলিশ বা সৈন্য ছিল না সেখানে?
তিনি অভিযোগ করেন, সেখানে বিশেষভাবে রাখা দুষ্কৃতিকারীরা জিন্নাহ হাউসে ভাঙচুর করে এবং আগুন দেয়।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে ইমরান খান জনগণকে ‘হককি আজাদি’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামতে বলেন জনগণকে। রোববার ‘সংবিধান বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ স্লোগানে এক ঘণ্টার জন্য জনগণকে রাস্তায় দাঁড়াতে আহ্বান জানান তিনি। জনগণের উদ্দেশ্যে ইমরান বলেন, ‘স্বাধীনতা (আজাদি) সহজে আসে না। একে ছিনিয়ে নিতে হয়। এর জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। ’
তথ্যসূত্র: দ্য ডন
Facebook Comments