সিনেমা দেখতে আমরা কমবেশি সবাই ভালবাসি। কিন্ত সবাইয়ের পছন্দের সিনেমা এক না। অনেকে অনেক ধরনের সিনেমা দেখতে ভালবাসে। কেউ রোম্যান্টিক, কেউ ডিটেকটিভ, কেউ বা আবার কমেডি। ধরন আলদা হলেও আসল কথাটা হল আমরা প্রায় সবাই সিনেমা দেখতে ভালোবাসি। সম্প্রতি ভারতে পদ্মাবতী সিনেমাটি নিয়ে দেশজুড়ে যে বিতর্ক চলছে তা আমরা কমবেশি প্রায় সবাই জানি। সে বিতর্কে ঢোকা আমাদের এই লেখার উদ্দেশ্য না। আজকে আপনাদেরকে জানাবো এরকমই কিছু সিনেমার কথা। যেগুলো নিয়েও একসময় সারা বিশ্বে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। ছবিগুলিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তৎকালীন সময়ে।
আসুন জেনে নিই এই বিশ্বের পাঁচটি নিষিদ্ধ সিনেমা সম্পর্কে-
ক্লকওয়ার্ক অরেঞ্জ- ১৯৭১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সারা ব্রিটেন জুড়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। ছবিটিতে অত্যাধিক মারামারি ও পাশবিক ধর্ষণের দৃশ্য থাকায় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যদিও আমেরিকাতে ছবিটি প্রশংসা কুড়িয়েছিল।
দ্য টিন ড্রাম- ১৯৭৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি সেবছর সেরা বিদেশী ছবির বিভাগে অস্কার পায়। কানাডা ও ফিলাডেলফিয়া এই ছবিটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ছবিটিতে একটি ১১ বছরের ছেলের সঙ্গে একটি ১৬ বছরের মেয়ের যৌনদৃশ্য দেখানো হয়েছিল। যদিও সমালোচক মহলে ছবিটি প্রশংসা অর্জন করেছিল।
থ্রি হান্ড্রেড- ২০০৬ সালে মুক্তি পায় এই ছবিটি। যুদ্ধের পটভূমিতে বানানো এই ছবিটি ইরান সহ আরও বেশ কিছু আরব দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। ইরান রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ জানিয়েছিল, এই ছবিটি ইরনের সভ্যতাকে কালিমালিপ্ত করার একটি মার্কিনী চক্রান্ত।
দ্য বার্থ অফ এ নেশন- এই ছবিটি একটি নির্বাক ছবি। এই ছবিটিতে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদেরকে ছোটো করে দেখানো হয়েছিল। সারা দুনিয়া জুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। ছবির পরিচালক শেষপর্যন্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।
অল কয়াইট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট- ১৯২১ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটি জার্মানি ও অস্ট্রিয়া নিসিদ্ধ্য করে। ছবিটিতে হিটলারের প্রবল সমালোচনা ছিল। এই ছবিটি তৎকালীন সময়ে দেখত্তে গিয়ে ধরা পড়লে জুটত নাৎসি বাহিনীর প্রবল অত্যাচার।
Facebook Comments