🇮🇱ইসরাইল-হামাস সংঘাত : সন্ত্রাসী মাহসিন আবু জিনা নিহত

আজ (বুধবার) ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৩৩তম দিন। গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অব্যাহত সামরিক পদক্ষেপ চলছে। এদিকে, বুধবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে হামাসের শীর্ষ অস্ত্র প্রস্তুতকারক এবং গাজা উপত্যকায় বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।

হামাস যোদ্ধাদের তৈরি একটি টানেল লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই টানেলগুলো হামাসের কমান্ড পোস্ট। আমরা আপনাকে জানিয়ে রাখি যে বর্তমানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হামাসের প্রধান অবস্থানগুলি চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। কয়েকদিন আগে ইসরায়েল জানায়, সৈন্যরা গাজা শহরকে পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে।

The IDF and ISA eliminated Hamas’ Head of Weapons and Industries, Mohsen Abu Zina.

He served as one of Hamas’ leading weapon developers, with expertise in strategic weapons and rockets.

We continue to operate in Gaza to eliminate Hamas. pic.twitter.com/71L6gBAAWP

— Israel Defense Forces (@IDF) November 8, 2023

◼️ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, সেনারা মধ্য গাজায় পৌঁছেছে। একই সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে হামাস। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে অস্ত্র প্রস্তুতকারী সন্ত্রাসী মাহসিন আবু জিনা দুটি পৃথক বিমান হামলায় নিহত হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রাউন্ড টু গ্রাউন্ড রকেট ফায়ারে জড়িত সন্ত্রাসীরাও নিহত হয়েছে।

◼️ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, গাজা শহরের আল-শাতি (সৈকত) শরণার্থী শিবিরের কাছে হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আমরা আপনাকে বলি যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে 10,328 হয়েছে। মৃতদের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনে কর্মরত ১৬০ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। ৭ অক্টোবর থেকে পশ্চিম তীরে ১৬০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। অক্টোবরের ৭ তারিখে হামাসের ইসরায়েলে হামলায় ১,৪০০ এরও বেশি ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

◼️ আপাতত যুদ্ধবিরতি হবে না: বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলেছেন, জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। নেতানিয়াহু আরও বলেন, ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের হাতে জিম্মি হওয়া মানুষদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না। তিনি বলেন, ততক্ষণ পর্যন্ত গাজায় কোনো জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না। একই সঙ্গে তিনি ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহকেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে লেবাননে তাদের ঘাঁটি থেকে যুদ্ধে নতুন ফ্রন্ট খুললে তারা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করবে।