প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচাতেই দিবসটির উদ্ভব। নানা কারণেই বিশ্ব পরিবেশ আজ ভালো নেই। কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না। পরিবেশ রক্ষার উপায় খুঁজতে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটিই ছিলো ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি এর ঘোষণা অনুযায়ী ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘ প্রকৃতি সংরক্ষণ করি, প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করি’ শ্লোগানে বিভিন্ন দেশ এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করছে।
পরিবেশদূষণের জন্য পৃথিবীতে ৮০ শতাংশ নিত্যনতুন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশদূষণের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে পানিতে পরিণত হচ্ছে। বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তরের আয়তন ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ফলে সূর্যের মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি প্রাণিজগৎকে স্পর্শ করবে। দূষণের ফলে উদ্ভিদ ও জীবজগৎ আজ বিপন্ন। সমুদ্রে-নদীতে-জলাশয়ে মাছের সংখ্যা দিন দিন কমছে। মাছের শরীরে নানা রোগ দেখা দিচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষণ ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তার একটি বাংলাদেশ। বাংলাদেশে প্রতিবছর যত মানুষের মৃত্যু হয়, তার ২৮ শতাংশই মারা যায় পরিবেশদূষণজনিত রোগব্যাধির কারণে। কিন্তু সারা বিশ্বে এ ধরনের মৃত্যুর গড় হার মাত্র ১৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের ওই পরিসংখ্যানে আরও বলা হয়েছে, শহরাঞ্চলে এই দূষণের মাত্রা উদ্বেগজনক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবেশদূষণজনিত কারণে বাংলাদেশে যেখানে ২৮ শতাংশ মৃত্যু হয়, সেখানে মালদ্বীপে এই হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ভারতে ২৬ দশমিক ৫।
আমরা যা যা করতে পারি- * বেশী করে গাছ লাগাই, শুধু খোলা জায়গা মাঠে ঘাটে গাছ লাগানো না আপনার বারান্দা, বাসার সামনে, বাড়ির ছাদে বাগান করেও আমরা আমদের অবদান রাখতে পারি। * গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে, অতিরিক্ত কাঠের আসবাব ব্যাবহার বন্ধ করতেহবে, বিকল্প উপাদানে তৈরি আসবাব ব্যাবহার করতে পারি।
* এসি ব্যাবহার কমাতে পারি*প্লাস্টিক ব্যাবহার বন্ধ করতে পারি। *ময়লা আবর্জনা ফেলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে পারি। *বৃষ্টির পানি সংরক্ষনের বেবস্থা করতে পারি। *ফ্যান লাইট, চুলা অযথা জালিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকি। *চলাচলের জন্য সাইকেল ব্যাবহার করতে পারি ।
Facebook Comments