🇵🇰 পাকিস্তানে বিলাসী পণ্যের আমদানি নিষেধাজ্ঞা জারি

গভীর অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের সরকার ‘জরুরি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা’র আওতায় ৩৮টি অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দেশটির তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এসব পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণাটি দেন। রাজধানী ইসলামাবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাটি দেন। মূলত এর কিছুক্ষণ পরই সদ্য ক্ষমতায় বসা পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ টুইটারে এক বার্তায় বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচাবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মিতব্যয়িতার চর্চা করব এবং আর্থিকভাবে শক্তিশালী ব্যক্তিদের এই প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে হবে, যাতে আমাদের মধ্যে কম সুবিধাপ্রাপ্তদের পিটিআই সরকারের চাপিয়ে দেওয়া এই বোঝা বহন করতে না হয়। অবশ্যই আমরা সমাধান এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে এসব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির ঐতিহাসিক পতনের দিনে বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। এদিন দিনের শুরুতে ডলারের বিপরীতে রুপির মান ছিল ১৯৮ দশমিক ৩৯। যদিও মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই মান ২০০ ছাড়িয়ে যায়। সংবাদ সম্মেলনে পাক তথ্যমন্ত্রী জাতিকে আশ্বস্ত করে বলেন, পাকিস্তানের অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দিনরাত কাজ করছেন। নতুন পরিকল্পনার আওতায় সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় বিলাসবহুল পণ্য-সামগ্রী আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

👉 গাড়ি, গৃহস্থালি আসবাবপত্র, মোবাইল ফোন, ফলমূল এবং শুকনো ফল (আফগানিস্তান ব্যতীত), ব্যক্তিগত অস্ত্র ও গোলাবারুদ, ক্রোকারি, জুতা, হেডফোন ও লাউডস্পিকার, ঝাড়বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাল্ব, সস, ভ্রমণের ব্যাগ এবং সুটকেস, দরজা জানালার ফ্রেম, প্রসাধন সামগ্রী, কার্পেট, মাছ, তাজা ফল, ফার্নিচার, টিস্যু পেপার, শ্যাম্পু, বিলাসবহুল তোষক ও স্লিপিং ব্যাগ, মিষ্টান্ন, জ্যাম ও জেলি, টয়লেট সামগ্রী, কর্নফ্লেক্স, হিটার, ব্লোয়ার, রান্নাঘরের জিনিসপত্র, সানগ্লাস, সোডা পানি, হিমায়িত মাংস, পাস্তা, জুস, আইসক্রিম, শেভিং পণ্য, সিগারেট, বিলাসবহুল চামড়ার পোশাক, সেলুনের পণ্যসামগ্রী; যেমন- হেয়ার ড্রায়ার ইত্যাদি…, বাদ্যযন্ত্র, চকোলেটসহ বিভিন্ন পণ্য।

সূত্র : জিও নিউজ, দ্য ডন