“দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ” স্মরণ করে, যা আধুনিক বিশ্বের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বলে প্রমাণিত হয়েছিল, একজন কাঁপতে থাকে। সেই যুদ্ধে জাপান, জার্মানি ও পোল্যান্ডের মতো দেশের লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়। এতে একদিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়ার মতো দেশ ছিল, যাদেরকেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল। 1942 সালে, একটি আমেরিকান সাবমেরিন আক্রমণে একটি বিশাল জাপানি জাহাজ সমুদ্রে ডুবে যায়।
এখন প্রায় ৮০ বছর পরে, সেই জাপানি জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দক্ষিণ চীন সাগরে পাওয়া গেছে। জাহাজটির নাম ছিল- এসএস মন্টেভিডিও মারু (জাপানি এসএস মন্টেভিডিও মারু জাহাজ)। জাহাজে জাপানী সৈন্য সহ প্রায় 1,060 জন বন্দী ছিল। জাহাজ ডুবির কারণে সবাই মারা গেছে। বন্দী হওয়া সৈন্যদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ৮৫০ জন। এই কারণেই অস্ট্রেলিয়ান অভিযাত্রীরা “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের” বছর পরেও তাদের মৃত ব্যক্তিদের সন্ধান করছিলেন। বলা হয় যে একটি অলাভজনক সাইলেন্টওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশনের অনুসন্ধানকারীরা গত 12 দিন ধরে এই জাহাজটির সন্ধান করছিলেন।
জাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার পর তিনি এখন বলেছেন এটি নিয়ে কোনো কারসাজি করা হবে না। তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজে থাকা মানুষের দেহাবশেষও সরানো হবে না। যুদ্ধের 80 বছর পর এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া একটি বড় ব্যাপার, কারণ এটি টাইটানিকের চেয়েও বেশি গভীরতায় পাওয়া গেছে, তাই এই জাহাজের ধ্বংসাবশেষ গবেষণার জন্য রাখা হবে।
1 জুলাই, 1942-এ, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ফিলিপাইনের কাছে ডুবে যাওয়া জাপানি পরিবহন জাহাজ এসএস মন্টেভিডিও মারুর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কারের বিষয়ে টুইট করেছিলেন। অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন- আমি আশা করি এই দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের পরিবার এখন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে।
এই জাহাজে ১৪টি দেশের ২১০ জন নাগরিকও ছিলেন বলে জানা গেছে। এই জাহাজটি পাপুয়া নিউগিনি থেকে বন্দী সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল চীনে। একই সময়ে, ফিলিপাইনের কাছে একটি আমেরিকান সাবমেরিন টর্পেডো দিয়ে আক্রমণ করে। এরপর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সাগরে ডুবে যায়।
বহু বছর ধরে এই জাহাজে যারা মারা গেছে তাদের পরিবারকে জানানো হয়নি। জাহাজ ডুবির পর ধ্বংসাবশেষ কোথায় গেল? এই প্রশ্নটিও রহস্যে পরিণত হয়েছিল।
সূত্রঃ ANI
Facebook Comments