মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্পের সঙ্গে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে মোদি ফোনে কথা বলেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ৩০ মিনিটের কথোপকথন হয়েছে মোদির। ফোনালাপে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘তিনি (নরেন্দ্র মোদি) ট্রাম্পের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী পরিবেশ তৈরি, সহিংসতা এবং কোনো ধরনের অজুহাত ছাড়া আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ বর্জনের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি এ বিষয়ে দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে।’ চলতি বছরে জুনের শেষে জাপানের ওসাকাতে তাদের বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। ওসাকাতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা নিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আশা প্রকাশ করেছেন উভয় দেশের রাষ্ট্রনেতা। প্রসঙ্গত চলতি মাসেই ওয়াশিংটন সফরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
নরেন্দ্র মোদীর পর এবার পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার (১৯ আগস্ট) পরমাণু অস্ত্রধর প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে আগামীতে যেন আর কোনো সংঘাতমূলক কিছু না ঘটে সে ব্যাপারে তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি দিল্লি-ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের বাণিজ্যিক অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) এক ট্যুইটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘দুই জনই আমার বেশ ভালো বন্ধু— কাশ্মীরের চলমান উত্তপ্ত অবস্থার অবসানের পথ অনুসন্ধানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’
ট্রাম্প তার ট্যুইটে আরও বলেন, ‘ফোনালাপে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং দেশ দুটি কীভাবে কাশ্মীর নিয়ে নিজেদের মধ্যকার উত্তপ্ত অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে, সে বিষয়গুলো নিয়েও আমরা কথা বলেছি। বর্তমানে কঠিন একটা পরিস্থিতি, তবে আমাদের ভালোই আলাপ হয়েছে।’ সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যকার সম্পর্কে নতুন এক অবস্থান তৈরি হয়। যদিও অনেক আগে থেকেই দেশ দুটি উপত্যকাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। সর্বশেষ নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার থেকে শুরু করে সব ধরনের বাণিজ্য ও যোগাযোগ সম্পর্ক ছিন্নের মাধ্যমে উভয়পক্ষ কড়া ভাষায় একে অপরকে জবাব দিতে শুরু করেছে।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments