শীঘ্রই ১.২ মিলিয়ন টন গম রপ্তানির অনুমোদন দিতে পারে ভারত। গত মাসে হঠাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ এ খাদ্যপণ্যটির রপ্তানি নিষিদ্ধ করে ভারত। এরপর ভারতের বিভিন্ন বন্দরে বিপুল সংখ্যক কার্গো আটকা পড়ে। বুধবার (৮ জুন) সরকার ও ব্যবসায়ীদের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, ভারত সরকারের অনুমোদনের দিলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে। কারণ দেশগুলো ভারতের গমের ওপর বেশি নির্ভরশীল।
একটি দিল্লিভিত্তিক কোম্পানি জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যটির সিংহভাগ বাংলাদেশে যাবে। তাছাড়া নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কায়ও গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি রপ্তানি করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রপ্তানিতে নয়াদিল্লি অনুমতি দিলেও এখনো প্রায় পাঁচ লাখ টন গম বন্দরগুলোতে আটকা থাকতে পারে। কারণ কিছু ব্যবসায়ী এখনো রপ্তানির অনুমোদন পায়নি। গত মাসে অর্থাৎ ১৪ মে হঠাৎ করে বিশ্বজুড়ে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে দেশটির সরকার। তবে জানানো হয়, যেসব দেশ এর আগে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) ইস্যু করেছে ও খাদ্য নিরাপত্তায় রপ্তানি অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছে সেসব দেশে গম রপ্তানি করা হবে।
রপ্তানি নিষিদ্ধের পর ভারত মোট চার লক্ষ ৬৯ হাজার দুইশ দুই টন গম রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু এখনো কমপক্ষে ১৭ লক্ষ টন গম বন্দরগুলোতে আটকা রয়েছে। তাই বর্ষাকালকে সামনে রেখে উদ্বেগ বাড়ছে। সরকারি সূত্র জানিয়েছে, যাদের কাছে বৈধ এলসি রয়েছে শুধু তারা পণ্যটি রপ্তানি করতে পারবে। যাদের কাছে পর্যাপ্ত ডকুমেন্ট থাকবে না তাদের রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হবে না।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদক হলেও বৈশ্বিক রপ্তানিতে তাদের অংশ মাত্র এক শতাংশের মতো। পরিমাণ ও মূল্য উভয় দিক থেকে ভারতীয় গমের সবচেয়ে বড় ক্রেতা বাংলাদেশ।
দ্য ইকোনমিক টাইমস
Facebook Comments