জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিককে তলব CBI-এর

বীমা কেলেঙ্কারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিককে তলব করল সিবিআই। এমনটাই জানিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক। তিনি বলেছিলেন যে আমার দ্বারা রিপোর্ট করা মামলার বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করতে চায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা প্রাক্তন রাজ্যপালকে ২৭ ও ২৮ এপ্রিল হাজির হতে বলেছে। তবে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রকৃতপক্ষে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিল। এই ঘটনায় তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। এই বিষয়ে, প্রাক্তন গভর্নর মালিক দাবি করেছিলেন যে দুটি ফাইলে স্বাক্ষর করার জন্য তাকে 300 কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

প্রকৃতপক্ষে, জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং মেঘালয়ের বর্তমান রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক দাবি করেছিলেন যে তিনি যখন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল ছিলেন তখন তাঁকে 300 কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ‘আম্বানি’ এবং ‘আরএসএস-এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’-এর দুটি ফাইল সাফ করার পরিবর্তে প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি চুক্তিটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করে বলেন, সেই সময় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে বলেছিলেন দুর্নীতির সঙ্গে আপস না করতে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারকে সিবিআইয়ের কাছে তার দাবির তদন্ত করার সুপারিশ করেছিল। যা এখন কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করেছে।

17 অক্টোবর, 2021, রাজস্থানের ঝুনঝুনুতে একটি অনুষ্ঠানে সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, ‘কাশ্মীরে যাওয়ার পরে, দুটি ফাইল আমার কাছে এসেছিল। একটি ছিল আম্বানির ফাইল এবং অন্যটি ছিল আরএসএস-এর সাথে যুক্ত একজন ব্যক্তির যিনি মেহবুবা মুফতি এবং বিজেপির আগের জোট সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি মোদির খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমাকে সচিবদের দ্বারা জানানো হয়েছিল যে এতে একটি কেলেঙ্কারি হয়েছে এবং তারপরে আমি উভয় চুক্তি বাতিল করে দিয়েছি। সচিবরা আমাকে বলেছিলেন যে উভয় ফাইলের জন্য প্রত্যেককে 150 কোটি টাকা দেওয়া হবে। তবে, আমি তাদের বলেছিলাম যে আমি পাঁচটি কুর্তা-পায়জামা নিয়ে এসেছি এবং কেবল এটি নিয়েই চলে যাব।