আমেরিকায় খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বুধবার (২০ডিসেম্বর) প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্য ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “কেউ যদি আমাদের কোনও তথ্য দেয়, আমরা অবশ্যই তা খতিয়ে দেখব।”
কথোপকথনের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে উপস্থাপিত যে কোনও প্রমাণ তদন্ত করার কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, বিচ্ছিন্ন ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ককে ব্যাহত করবে না।
‘আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিবেদিত-প্রাণ’
সাক্ষাত্কারে মোদী বলেন, কেউ যদি আমাদের তথ্য দেয়, আমরা অবশ্যই তদন্ত করব। আমাদের নাগরিকরা ইতিবাচক বা নেতিবাচক কর্মের সাথে জড়িত কিনা, আমরা বিষয়টি তদন্ত করতে প্রস্তুত। আমরা যে কোনও জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিবেদিত।”
মোদী সাক্ষাত্কারে আরও বলেছেন, “আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের ভিত্তি হল দ্বিদলীয় সমর্থন, যা একটি পরিপক্ক এবং স্থিতিশীল অংশীদারিত্বের স্পষ্ট সূচক। নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতা আমাদের অংশীদারিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমি মনে করি না কিছু ঘটনাকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সাথে যুক্ত করা উপযুক্ত।’
মোদী আরও বলেন, ‘আমাদের এই সত্যটি মেনে নেওয়া দরকার যে আমরা বহুপক্ষীয়তার যুগে বাস করছি। পৃথিবী একে অপরের সঙ্গে জুড়ে থাকার পাশাপাশি একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। এই বাস্তবতা আমাদের স্বীকার করতে বাধ্য করে যে সমস্ত বিষয়ে সম্পূর্ণ চুক্তি কোনও দেশের মধ্যে সহযোগিতার পূর্বশর্ত হতে পারে না।”
উল্লেখ্য, এই পুরো বিষয়টি শুরু হয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের একটি প্রতিবেদন দিয়ে, যেখানে গত মাসে বলা হয়েছিল যে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী গুরপতবন্ত সিং পান্নুকে হত্যার জন্য আমেরিকায় ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, কিন্তু আমেরিকা এই ষড়যন্ত্র নস্যাত্ করে দিয়েছে। একই সঙ্গে পান্নু হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিউইয়র্ক জেলা আদালতে সিলমোহর করা মামলাও দায়ের করা হয়েছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ হওয়ার পর এই সিল করা মামলাটি খোলা উচিত্ নাকি এখনই খোলা উচিত্ তা নিয়ে মার্কিন বিচার বিভাগ আলোচনা করছে। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতকে কূটনৈতিক সতর্কবার্তাও দিয়েছিল আমেরিকা।
Facebook Comments