সমস্ত বিরোধী দল নতুন সংসদ ভবনে স্থাপিত জাতীয় প্রতীক নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরকারকে আক্রমণ করেছে। একই সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং হরদীপ সিং পুরি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, যারা রক্তের হোলি খেলেছে, বিজেপি কর্মীদের মেরেছে, যারা জিহাদের স্লোগান দেয়, এই স্লোগান সাংবিধানিক পদে থাকা একজন মহিলার। যার সাংসদ মা কালীর অপমান করেছেন। যারা সংবিধানকে পায়ে পিষেছে তারা আজ অশোক স্তম্ভকে ভয় পায়। যারা মা কালীকে অপমান করে তারা জাতীয় প্রতীককেও অপমান করে, আশ্চর্যের কিছু নেই।
একই সঙ্গে বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরিও। তিনি ট্যুইট করেছেন, “আসল সারনাথের প্রতীকটি 1.6 মিটার উঁচু এবং নতুন সংসদ ভবনের শীর্ষে বিশাল প্রতীকটির উচ্চতা 6.5 মিটার। দুটি কাঠামোর তুলনা করার সময় কোণ, উচ্চতা এবং স্কেলের প্রভাবের প্রশংসা করা প্রয়োজন। সারনাথের প্রতীক বাড়ানো বা নতুন সংসদ ভবনের প্রতীক আকারে ছোট করা হলে কোনও পার্থক্য নেই।”
উল্লেখ্য, পিএম মোদী আগের দিন নতুন সংসদ ভবনের ছাদে বিশালাকার জাতীয় প্রতীক অশোক স্তম্ভের উন্মোচন করেছিলেন। এ সময় তার সঙ্গে লোকসভার স্পিকারও উপস্থিত ছিলেন। মোড়ক উন্মোচন কর্মসূচি নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
হায়দরাবাদের সাংসদ এবং এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি প্রধানমন্ত্রীর মোড়ক উন্মোচনকে সাংবিধানিক নিয়মের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “সংবিধান সংসদ, সরকার ও বিচার বিভাগের ক্ষমতাকে পৃথক করেছে। সরকার প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নতুন সংসদ ভবনের উপরে জাতীয় প্রতীক উন্মোচন করা উচিত্ হয়নি।”
একই সঙ্গে কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দল বিজেপির বিরুদ্ধে জাতীয় প্রতীক বদলানোর অভিযোগ তুলেছে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ বলেছেন, “সারনাথে অশোক স্তম্ভে সিংহদের চরিত্র এবং প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করা দেশের জাতীয় প্রতীকের অপমান।” তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ট্যুইটারে নতুন এবং পুরানো অশোক স্তম্ভের ছবি শেয়ার করেছেন। তারপর তিনি ট্যুইট করে লিখেছেন, “সত্যমেব জয়তে থেকে সিংমেব জয়তেতে রূপান্তর সম্পূর্ণ হয়েছে।” এর পরে তিনি আরেকটি ট্যুইটে লিখেছেন যে, “দুঃখিত, আমি বলতে চেয়েছিলাম যে সত্যমেব জয়তে থেকে সংঘিমেব জয়তে পরিবর্তন সম্পূর্ণ। সিংহকে অন্তর্ভুক্ত করবেন না।”
Facebook Comments