দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে ইন্ডিয়া গেটের চারপাশে কোনো সমাবেশ করা যাবে না। অবশ্য যন্তর-মন্তরে একশজনের বেশি লোকের জমায়েত করা যাবে। তবে সেটা করা যাবে আগে থেকে অনুমতি নেওয়া সাপেক্ষে।
এদিকে হাথরাসে দলিত তরুণীকে নির্যাতন ও গণধর্ষণের অভিযোগ নিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এ ঘটনায় চলতি বছরের ১২ অক্টোবর শুনানির জন্য জেলাসহ রাজ্য সরকার ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব, পুলিশ প্রধান, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক, হাথরাসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারকে তলব করেছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করার কয়েক ঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং জনসমাবেশের নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের আটক করে। তবে সন্ধ্যার দিকে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাথরাসে ধর্ষণের পর নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার জন্য দিল্লি থেকে রওনা হয়েছিলেন সাবেক কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী। সঙ্গে ছিলেন বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী প্রমুখ। যদিও হাথরাস থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরে নয়ডার কাছেই রাহুলদের আটকে দেয় পুলিশ।
রাহুল গান্ধীর দাবি, নয়ডায় পুলিশ তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে এবং মহাসড়ক দিয়ে হাথরাসের দিকে পদযাত্রার সময় প্রিয়াঙ্কাসহ তাঁদের দলের ওপর লাঠিপেটা করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
আগে থেকেই রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ঘোষণা করেছিলেন হাথরাসে যাওয়ার কথা। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল যোগী সরকার। তাতেও কর্মসূচি বাতিল করেননি কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার গাড়িবহর গ্রেটার নয়ডায় আসতেই আটকে দেওয়া হয়। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি হাইওয়ে ধরে হাঁটতে শুরু করেন তাঁরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক তরুণী রাজধানী নয়াদিল্লিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বিনা উপস্থিতিতে রাতের আঁধারে ওই তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়।
Facebook Comments