আসামে ভয়াবহ বন্যায় এ পর্যন্ত ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটির ২৬ জেলায় বন্যা জনিত কারণে ৩৬ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গতকাল (বুধবার) সেখানে নতুন করে আরও সাত জনের মৃত্যু হওয়ায় এ পর্যন্ত ৯২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আসামে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএসডিএমএ) জানিয়েছেন, মরিগাঁও জেলায় ৩ জন, বরপেটা ২, সোনিতপুর এবং গোলাঘাট জেলায় একজন করে মারা গেছে। মৃতদের মধ্যে ৬৬ জন বন্যায় ও ২৬ জন ভূমিধসে মারা গেছেন। অসমের ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, সোনিতপুর, দারং, বাকসা, নলবাড়ি, বরপেটা, চিরাং, বঙ্গাইগাঁও, কোকরাঝাড়, ধুবড়ি, শিবসাগর, ডিব্রুগড়সহ বিভিন্ন জেলা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সম্প্রতি জোরহাট জেলায় টেওক রাজাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে খোলা অস্থায়ী ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করেন এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে তিনি সবধরণের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তৎপরতা চালাচ্ছে। ১৮০টি নৌকার সাহায্যে উদ্ধার কাজ চলছে। এরইমধ্যে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এএসডিএমএ বলেন, ৩ হাজার ৩৩৬ টি গ্রাম জলের তলায় ডুবে রয়েছে এবং ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৭.২৫ হেক্টর কৃষি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
আসামে বিশ্বখ্যাত কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যান বন্যার জলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক শৃঙ্গীয় গণ্ডারের জন্য খ্যাত, জাতীয় উদ্যানের ৯৫ শতাংশ বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্য বন কর্মকর্তাদের মতে, বন্যার কারণে এখানে ৬৬টি প্রাণী মারা গেছে এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রচেষ্টার ফলে ১১টি প্রাণী উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
Facebook Comments