বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা পরিস্থিতি দ্রুতই বদলে যাচ্ছে। আগামী ২০ বছরের মধ্যে বেশিরভাগ উচ্চ-আয়ের দেশগুলোতে জনসংখ্যা সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে। বিপরীতে অনেক দেশের জনসংখ্যাই ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ৮ বছরের মধ্যে জনসংখ্যার দিকে থেকে চীনকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ভারত বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) জাতিসংঘে প্রকাশিত তথ্য মতে, আগামী ২১০০ সাল নাগাদ গোটা ইউরোপের জনসংখ্যা প্রায় ১২ কোটি কমে যাবে। যেখানে এক ইতালিতেই কমবে প্রায় ২ কোটি, তাছাড়া জার্মানিতে কমে দাঁড়াবে ৯০ লাখ। মলদোভা, আলবেনিয়া এবং সার্বিয়ার জনসংখ্যা কমবে প্রায় অর্ধেকের মতো।
এ দিকে গোটা ইউরোপের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম থাকবে যুক্তরাজ্য। সে সময়ের মধ্যে দেশটির সার্বিক জনসংখ্যা বাড়তে পারে প্রায় ১ কোটির বেশি। তাছাড়া সুইডেন, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডেও জনসংখ্যা বাড়বে তুলনামূলক হারে।
অপর দিকে ইউরোপের বাইরের দেশগুলোতে জনসংখ্যার পরিবর্তনের হার চোখে পড়ার মতো। যেখানে ২০২৭ সালের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। তাছাড়া আগামী ২০৬০ সালে দেশটির জনসংখ্যার সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাবে।
যদিও ২১০০ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে প্রায় ৩০ কোটি ৭৫ লাখ। বর্তমানে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন চীনা নাগরিক হলেও; ২১০০ সাল নাগাদ তা প্রায় অর্ধেকে নেমে যাবে।
জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্যে এও জানানো হয়, ২০৫০ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৯৭০ কোটিতে। তাছাড়া ২১০০ সালের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করে ১১০০ কোটিতে গিয়ে দাঁড়াতে পারে। যার অংশ হিসেবে খুব শিগগিরই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনবহুল ১০ দেশের তালিকায় ব্রাজিল, বাংলাদেশ, রাশিয়া ও মেক্সিকোর স্থান নিয়ে নেবে ইথিওপিয়া, মিশর, কঙ্গো এবং তানজানিয়া। যে তালিকায় আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার কাছে তৃতীয় স্থান হারিয়ে চারে নেমে যাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments