করোনা আবহে রাজধানীতে নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় দিল্লি হাইকোর্টে । অবশেষে সোমবার সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে একধাপ এগিয়ে গেল নির্মাণের কাজ। আদালত জানিয়েছে, ‘সেন্টাল ভিস্তার নির্মাণ একান্ত প্রয়োজনীয়। এর বিরুদ্ধে যে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও যথাযথ নয়।’ পাশাপাশি সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজে স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, আবেদনকারীকে ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করেছে প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের বেঞ্চ। আদালত এও জানায় যেহেতু স্থানীয় এলাকাতেই শ্রমিকরা থাকছেন তাই নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ বন্ধ করার প্রশ্নই ওঠে না। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। সুপ্রিমকোর্টের তরফে ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের মান্যতা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্রে মোদীর (Narendra Modi) এনডিএ সরকারের (NDA) বহুকাঙ্খিত প্রজেক্ট এই নতুন সংসদ ভবনের নির্মাণ। ৩.২ কিমি এলাকা জুড়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রজেক্ট। ভাঙা হচ্ছে বহু পুরোনা বহুতলও। সব মিলিয়ে খরচ মোট ২০ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কোভিড মোকাবিলায় খরচ করা হোক, এই দাবি তুলেছে বিরোধীরা। তবে সেন্ট্রাল ভিস্তার এই প্রকল্পের বন্ধের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
আর এরপরই এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে কংগ্রেসকে তোপ দাগতে সংবাদ সম্মেলন করেন কেন্দ্রী মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এদিন ফের দাবি করেন, বিরোধীরা সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। এদিন হরদীপ সিং পুরী আরও বলেন, “আমি বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে একটা মিথ্যে গল্প তৈরি করা হচ্ছে। যদি রাজনৈতিক দলগুলো সেই গল্প অনুসরণ করে, তাহলে তাদের সতর্ক হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য কোনও ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক, আইকনিক বিল্ডিং ভাঙা হচ্ছে না। তারা যেমন আছে, তেমনই থাকবে। এই প্রকল্পের সিদ্ধান্ত করোনা অতিমারীর আগে নেওয়া হয়েছিল।”
Facebook Comments