কুতুব মিনার উপাসনার অধিকার চাওয়া আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা আজ দিল্লীর আদালতে। কুতুব মিনারে হিন্দু দেব-দেবীর অনেক মূর্তি রয়েছে। দিল্লীর কুতুব মিনার কি হিন্দু ও জৈন মন্দির ধ্বংস করে নির্মিত হয়েছিল? এই প্রশ্ন এখন পিটিশন আকারে আদালতে পৌঁছেছে। আজ এ বিষয়ে শুনানি হতে যাচ্ছে। পিটিশনে দাবী করা হয়েছে, কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি রয়েছে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদটি ২৭টি হিন্দু ও জৈন মন্দির ভেঙে ফেলার পর তৈরি করা হয়েছিল এবং কমপ্লেক্সের অনেক জায়গায় কলশ, স্বস্তিক এবং পদ্মের মতো প্রতীক রয়েছে।
আদালতে দায়ের করা পিটিশনে বলা হয়েছে যে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সেই এই ধরনের শিলালিপি রয়েছে যা প্রমাণ করে যে সেখানে ২৭টি হিন্দু ও জৈন মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং উপাদানগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল।
কুওয়াত-উল-ইসলাম মসজিদটি পুনঃব্যবহারের মাধ্যমে প্রাঙ্গনের ভিতরে নির্মিত হয়েছিল। আবেদনে ভগবান বিষ্ণু, ভগবান শিব, ভগবান গণেশ, ভগবান সূর্য, দেবী গৌরী, ভগবান হনুমান এবং জৈন দেবতা তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভ দেবকে মসজিদের জায়গায় মন্দির চত্বরে পুনর্বাসনের অধিকার দেওয়ার দাবী করা হয়েছে।
এই বিষয়ে প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর ধরমবীর শর্মা বলেছেন যে কুতুব মিনারের প্রমাণ বলছে যে বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে একটি সূর্য স্তম্ভ তৈরি হয়েছিল। কুতুব মিনার উপর থেকে ফুলের আকারে দেখা যায়।
এরই মধ্যে কুতুব মিনারে খনন ও জরিপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর সামনে এসেছে। যা অস্বীকার করেছেন খোদ কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি বলেছেন, কুতুব মিনারের খবর ভুল। কুতুব মিনারে দেশের সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কিছু লোককে উস্কে দিতে যা মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা ঠিক না।
Facebook Comments