বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে জেনারেল বিপিন রাওয়াত বলেন, ‘নেতা হয়ে ওঠার বিষয়টি পুরোপুরি নেতৃত্বনির্ভর। যখন আপনি সামনে এগোবেন, সবাই অনুসরণ করবে। তাই নেতা তারাই যারা জনতাকে সঠিক পথের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। যারা জনতাকে ভুল পথে টেনে নিয়ে যান তারা নেতা নন। কয়েকটি দলের সিনিয়র রাজনীতিবিদের কথা আমি বলতে পারি, যারা সাধারণ জনতাকে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভের জন্য উসকে দিচ্ছেন। এটা নেতৃত্ব নয়।’ সেনাপ্রধানের এ ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্যে ক্ষুব্ধ কংগ্রেসসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। নাগরিক সমাজও বিস্ময় প্রকাশ করেছে জেনারেল রাওয়াতের ‘বিজেপি-ভাববাদী’ মন্তব্যে। তাদের মতে, সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে আসীন একজন কর্মকর্তার অবস্থান ‘নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক’ হওয়া উচিত। কিন্তু জেনারেল রাওয়াত ‘অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় নেতৃত্বদাতারা নেতা নন’ মন্তব্য করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন।
কংগ্রেসের মুখপাত্র ব্রিজেশ কালাপ্পা এক ট্যুইটে বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের বক্তব্য পুরোপুরি সংবিধানবিরোধী। যদি আজ সেনাপ্রধানকে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, আগামীকাল সেটা তাকে ক্ষমতা-দখলের উসকানি দেবে।
নিখিল ভারত মজলিস-এ-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রধান ও লোকসভা সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি ট্যুইটে বলেছেন, ‘নেতৃত্ব হলো কারও কার্যালয় অনুসারে কথা বলার সীমা জানা, জনগণের ক্ষমতা বোঝা এবং নিজে যে প্রতিষ্ঠানের প্রধান তার মর্যাদা রক্ষা করা।’
Facebook Comments