পশ্চিমবঙ্গের এগরা, বাজবাজের পর মঙ্গলবার সকালে পর এবার প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হল মালদহের ইংলিশ বাজারের একটি বাজির দোকানে। মঙ্গলবার ভোর ছয়টার দিকে ইংরেজবাজারের একটি বাজির দোকানে পরপর বিস্ফোরণ শুরু হয় এবং দোকানে আগুন ধরে যায়। আগুন আশেপাশের আরও অনেক দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দগ্ধ হয়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রথবাড়ি এলাকার নেতাজিপুর বাজারে একটি বাজির দোকানে আগুন লাগে। এই আগুন আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকার লোকজন ছুটতে থাকে। স্থানীয় লোকজন জানান, ওই দোকানে বিপুল পরিমাণ কার্বাইড মজুত ছিল। ফায়ার ব্রিগেড ঘটনাস্থলে পৌঁছে দোকানের শাটার ভেঙ্গে দুইজনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
দমকল দফতর সূত্রে খবর, নেতাজিপুর বাজারে যে আতশবাজির দোকানে আগুন লেগেছে, সেটি বেশ ঘন এলাকায়। ফলে আগুন আশেপাশের আরও চারটি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। এত ঘন এলাকায় কীভাবে বাজির দোকান খোলা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দোকানের বৈধ লাইসেন্স আছে কি না।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণান্দু নারায়ণ চৌধুরী। আতশবাজির দোকানের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত নন। প্রাথমিক লক্ষ্য আগুন নেভানো এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা।
এগ্রা আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর স্মৃতি এখনও তাজা। এদিকে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় পটকা কারখানা, বেআইনি পটকা দোকানে বিস্ফোরণের ঘটনা সামনে আসছে। রবিবার রাতে বাজবাজ বিস্ফোরণে বেআইনি বাজি কারখানায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রাতে ১০ বছরের এক কিশোরীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
কারখানা থেকে ৩৭ হাজার কেজির বেশি নিষিদ্ধ পটকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। 36 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 16 মে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগ্রার খাদিকুল গ্রামে একটি বেআইনি কাগজের কারখানায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে 12 জনের মৃত্যু হয়। এত পটকা কোথা থেকে আসছে তা খতিয়ে দেখতে নবান্ন গতকাল একটি উচ্চ-স্তরের কমিটি গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে কমিটিতে MSME, পঞ্চায়েত, দমকল বিভাগ, পৌর কর্পোরেশন বিভাগ, স্বরাষ্ট্র দফতরের সদস্যরা রয়েছেন। রাজ্যে একটি আতশবাজি ক্লাস্টার স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে। ক্লাস্টার তৈরি হলে, নিয়মিত মনিটরিং হলে অবৈধ পটকা তৈরি হবে না বলে দাবি করেন তিনি।
Facebook Comments