হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং মৃত্যু ঘটনার তদন্তভার নিল সিবিআই। বুধবার রাতে হাঁসখালি থানায় পৌঁছান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। ভোর ৪টে পর্যন্ত তাঁরা থানাতেই ছিলেন। সূত্রের খবর, থানাতে পুলিশ এই মামলার যাবতীয় নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়। জানা গিয়েছে, ১৩৫ পেজের একটি কপিও তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টে নির্দেশে হাঁসখালি মামলার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
ইতিমধ্যে রাজ্য পুলিশের তরফে ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি থেকে একটি বেডশিট উদ্ধার করা হয়েছে। যে ঘরে অপরাধ হয়েছিল সেখানেই বেডশিটটি মিলেছে। জানা গিয়েছে, বেডশিটে রক্তের দাগ রয়েছে। মৃতদেহ যেখানে দাহ করা হয়েছে, সেখানে হাড়ের টুকরো মিলেছে। সেটি সংগ্রহ করে CFSL-এ পাঠানো হবে। পুলিশের অনুমান ঘটনার সময়ে ওই ঘরে অন্তত ৩ জন ছিল। এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ এবং নথি আপাতত সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আদালতের নজরদারিতে এই মামলার তদন্ত হবে। আদালতকে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও দেবে সিবিআই। পাশাপাশি আগামী ২ মে-র মধ্যে একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।
নদিয়ার হাঁসখালিতে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পরে বাড়ি ফিরে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে যায়। এমনকী পড়ে তার মৃত্যুও হয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগ, এর পরেই বিশেষ মহলের চাপে নাবালিকার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করে দেওয়া হয়। ঘটনার বেশ কিছু দিন পরে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হলে তথ্য সামনে আসে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। গণধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু হয়েছে। ধৃতের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, এই অভিযোগের তদন্তও করবে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ পেয়েই বুধবার রাতে হাঁসখালি পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের টিম।
Facebook Comments