জলপাইগুড়িতে একটি হিমঘরে অ্যামোনিয়া গ্যাসের লিকেজের কারণে একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনজন। নিহতের নাম কুতুবউদ্দিন শেখ (৪৫)।
জানা গেছে, শনিবার সকালে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক এলাকায় অ্যামোনিয়া গ্যাস লিকেজের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কোল্ড স্টোরেজ ঘিরে। অ্যামোনিয়া গ্যাসের লিকেজের কারণে আক্রান্তদের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় একজনের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনডিআরএফকে ডাকা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিলিগুড়ি থেকে 50 সদস্যের NDRF টিম ঘুগুডাঙ্গায় পৌঁছেছে।
সূত্রের খবর, জলপাইগুড়ি খারিজা বেরুবাড়ির এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুগুডাঙার টেপারামণিতে অবস্থিত হিমাগারে অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হতে শুরু করে। পুলিশ জানায়, সকালে জনতা কোল্ড স্টোরেজে সেবা দেওয়া হচ্ছিল। এসময় অ্যামোনিয়া গ্যাসের পাইপ ফেটে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হন, অপর দুইজন গুরুতর আহত হন। দগ্ধ হওয়ার পর শেখকে চিকিৎসার জন্য জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই ওই কর্মচারীর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে হিমাগারের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এনডিআরএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট বিবেক কুমার বলেন, জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে খবর পেয়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস লিক বন্ধ করতে দল এসেছিল। মাল্টি গ্যাস ডিটেক্টর দিয়ে গ্যাসের পরিমাণ পরীক্ষা করে ৩০ জনের একটি দল কাজ করছে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে দমকল কর্মীদের পানি ছিটিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কোল্ড স্টোরেজের কর্মচারী ইনসান শেখ বলেন, আমরা কাজ করছিলাম। কুতুবউদ্দিন পাইপের উপর পা রাখার সাথে সাথেই গ্যাস বের হতে থাকে। তখন কুতুবউদ্দিন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সকালে আমরা যখন বাসা থেকে বের হই তখন প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছিল, কিন্তু এখন সেই গন্ধ অনেকটাই কম। তিনি বলেন, আমরা খুব ভয় পাচ্ছি।
Facebook Comments