সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত নারদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের হলফনামা জমা নেওয়ার আবেদন নিয়ে মঙ্গলবারই কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। আদতে হলফনামা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা নিয়েই শুরু হয় সওয়াল জবাব। মঙ্গলবারই বৃহত্তর বেঞ্চে একাধিকবার এই প্রশ্ন ওঠে। কেন সঠিক সময়ে হলফনামা দেওয়া হবে না? সেক্ষেত্রে কি আদালতের সময় নষ্ট করা হচ্ছে না? তাহলে কি জরিমানা ধার্য করা হবে? এই নিয়ে শুনানি মঙ্গলবারই শেষ হয়ে যায়। বুধবার আজ রায় দেওয়ার দিন ধার্য হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
সেই মত আজ নারদা মামলায় মুখ্যমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী ও রাজ্যের হলফনামা গ্রহণ করা হল। পাশাপাশি সময়ের মধ্যে হলফনামা জমা না দেওয়ার জন্য ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা গ্রহন করা হয়। আগামী ১৫ই জুলাই রয়েছে মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজ্য সরকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক যে হলফনামা জমা দিলেন। আগামী ১০দিনের মধ্যে CBI এর তরফেও হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ই জুন কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে নারদা মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির সওয়ালের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার আবেদন জানান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। কিন্তু, আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
আর এরপরই নারদা মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার বিষয় হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকার ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।
Facebook Comments