পরিবহণ দফতরের তরফে বিরাট সুখবর পাওয়া গেল। কোন কোন ১২ টি রুটে চলবে সরকারি বাস? জেনে নিন বিস্তারিত, রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর জন্য একগুচ্ছ নয়া উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন। আর এই মর্মে নয়া পদক্ষেপ নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। সূত্রের খবর, রাজ্যের আরও ১২টি রুটে চলবে সরকারি বাস। যাত্রীদের মুশকিল আসান করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,জানা গিয়েছে এমনটাই।
উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারে নেমে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।সম্প্রতি নতুন করে বাংলার পরিবহণ পরিষেবাকে সাজিয়ে তোলার জন্য একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে।
মূলত জেলা এবং শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উন্নত করা যায়,পাশাপাশি প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও যাতে সরকারি বাস চালানো যায় সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি এয়ারপোর্ট-টালিগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট-হাওড়া এই দুই রুটে ১০টার পর বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং বিধাননগর পুলিশ।জানা গিয়েছে,রাতের বেলা সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেন অ্যাপ ক্যাব চালকরা।ফলে এই রুটগুলিতে গন্তব্যে পৌঁছতে রাতের বেলা সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের।
বিধাননগর কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান,এয়ারপোর্ট থেকে গত এক বছরে এসি বাসের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই তাতে যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে।ফলে মাঝরাত পর্যন্ত এই রুটে বাস চালানোর জন্য পরিবহণ দফতরের থেকে অনুমতি চাওয়া হয় এবং তাতে সম্মতিও মেলে। জানা গিয়েছে,রাত্রি ১০টার পর এক ঘণ্টার ব্যবধানে এয়ারপোর্ট-টালিগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট-হাওড়া এই দুই রুটে বাস পাওয়া যাবে।এই উদ্যোগের ফলে হাওড়া এবং দক্ষিণের যাত্রীরা অনেকটাই উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
🚍 কোন কোন নয়া রুটে চলবে বাস?
পরিবহণ দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী,শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিকে এক্ষেত্রে বিশেষ’ফোকাস’-এ রাখা হয়েছে। জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে-জাঙ্গিপাড়া-শ্রীরামপুর, রাজবলহাট-এসপ্ল্যানেড, ডোমজুড় থেকে কলকাতা, মুন্সিরহাট থেকে হাওড়া যা বাঁকড়া হয়ে যাবে, বাঁকুড়া থেকে মালদা, পুরুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর থেকে কৃষ্ণনগর, দিঘা থেকে খাতড়া হয়ে খড়গপুর,বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর হয়ে লালগড়,ক্ষীরগ্রাম থেকে মেমারি হয়ে কলকাতা, দিঘা থেকে খড়গপুর হয়ে খাতরা, দুর্গাপুর থেকে বোলপুর। তাত্পর্যপূর্ণভাবে এই ১২ রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালু হলে জেলার বহু যাত্রী উপকৃত হবেন।
Facebook Comments