অরুণিমা-সহ ৩০ জনেরই জামিন। চাকরি চেয়ে পুলিশের কামড়, গ্রেফতারের পর ৩০ জনেরই জামিন। ৭দিন ধরে রোজ তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ কোর্টের। ‘আক্রান্তই গ্রেফতার! এরা কি মাওবাদী? কোর্টে সওয়াল আইনজীবীর। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৭ (হিংসা ছড়ানো), ১৪৮ (অস্ত্র নিয়ে হিংসা ছড়ানো, অবৈধ জমায়েত), ১৪৯ (সরকারি কর্মীদের বাধা) ও ৩৫৩ (মারধরের অভিযোগ) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিন সেই মামলার সূত্র ধরেই দুপুরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয় এই চাকরিপ্রার্থীদের।
‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের কামড়, এটা মানুষের কাজ নয়। পুলিশের কামড়, হেনস্থা করেছে পুলিশ, মাথা ফাটিয়েছে। কামড়কাণ্ডে মেডিক্যাল রিপোর্টে কেন পুলিশের নাম নেই?’ ধৃতদের জামিন চেয়ে এদিন এমনটায় বলেন চাকরিপ্রার্থীদের (TET Protest) পক্ষের আইনজীবী। একই সাথে ‘যে আক্রান্ত, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, তারা কী শিখছে! সংগঠনকে চিহ্নিত করার কথা বলছে পুলিশ, এরা কি মাওবাদী?’ আক্রান্ত অরুণিমা পাল-সহ ৩০ জনের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী (TET Protest)।
‘সরকারি কাজে বাধা, শিক্ষকরা শিক্ষকের মতো আচরণ করুন। আন্দোলনের নামে তাণ্ডব, পুলিশের কাজে বাধা দিলে, তাকে অপরাধই বলা হয়’, ধৃতদের হেফাজতে চেয়ে পাল্টা সওয়াল সরকারি আইনজীবীর।
উল্লেখ্য, সপ্তাহ তিনেক আগেই ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ (TET Protest) নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে করুণাময়ী চত্বর। আর তারপর বুধবার ফের ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের জমায়েত-বিক্ষোভ ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় এক্সাইড মোড়ে। রাতে তাঁরই রেশ ধরে বিক্ষোভ চলে শিয়ালদাহ স্টেশন চত্বরের সামনে। আর তারপর পুলিশ ২৮২ জনকে আটক করলেও ৩০ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে। আর এদিন সেই মামলাতেই জামিন পেলেন আন্দোলনকারীরা।
সূত্রঃ সমাচার
Facebook Comments