সেই বাঙালির হৃদযন্ত্রে যে মানুষটি বাসা বেধেছেন তাঁকে আরও বেশীকরে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ‘দোসর’এরএকসাথে হওয়া ।
‘দোসর’-এর সপ্তকন্যাসৌমি, চিত্রা, সায়ন্তনী, বৈশালী, চন্দনকণা, স্রবন্তী ও শম্পা।
‘দোসর’-এর জন্ম রবীন্দ্র গানের অন্তঃস্থলথেকে। অবনীন্দ্রনাথ বলেছিলেন “রবিকারগানের মধ্যেই আছে তাঁর জীবনী।” সেইমহাজীবনের এক একটি অধ্যায় তাঁর একএকটি গান। ‘দোসর’যেন সেই ডুবুরি যেঅবগাহন করে মনি মানিক্যের খজে রবীন্দ্রগানের মহাসমুদ্রে।
বিশ্বাস করি রবীন্দ্র সঙ্গীতের স্বরলিপিগুলি এক বিশাল সম্পদের ভাণ্ডার। রবি ঠাকুররচিত গান গুলিতে তাঁর সাহিত্যের সাথে হাতেহাত মিলিয়ে যে অপূর্ব সুরের মায়াজাল সৃষ্টিহয়েছে, তা ধরে রেখেছে এই স্বরলিপিগুলি।তাঁর সুরের স্পর্শ স্বর, সুরের স্থায়ীত্বের timing-এ আমরা খুঁজে পাই কখনও চূনি-পান্নাররাজকীয় আভিজাত্য , কখনও হিরের ধারালোদ্যুতি। ‘দোসর’-এর একান্ত প্রয়াস মনি মানিক্যেভরা এই সুর সম্পদকে
সুরক্ষিত রেখে রবীন্দ্রগানে পথ চলা ।
রবীন্দ্র জীবনে নারী
মেয়েদের মন, বেদনা, জীবন, প্রেম আর তারাভরা একলা রাতের শব্দ, গল্প রবীন্দ্রনাথ যেভাবে এঁকেছেন তাতে মনে হয় এমন মনেরখবর তিনি পেলেন কোথায়?
প্রেমের জারক রসে জারিত তাঁর লেখাগুলিইতার প্রমাণ । প্রেমের ফাঁদে ধরা পড়ার যেকোনো বয়স লাগেনা সে কথা তাঁর জীবনচরিতপড়লেই উপলব্ধ হয় ।
২২ এপ্রিল আমরা রবীন্দ্র জীবনের নারীদেরনিয়ে ভাবা, তাঁদের জন্য গান গাওয়া।
রবীন্দ্রনাথ প্রেমিক পুরুষ। তাঁর জীবনে প্রেম আসে সমারোহে। উদাসিনী, বিদেশিনী, বিরহিনী,একাকিনী সেই সব গোপনচারিণীর জীবন আরমনের বিনিময় ঘটেছে তাঁর জীবনে বহুবার।এইনারীদের অনেকেই ছিলেন তাঁর কাব্য ও সংগীতরচনার প্রেরণা।
হেমন্তবালা দেবীকে চিঠি লিখেছিলেনরবীন্দ্রনাথ।হয়েছিল রাণু-র সাথেও পত্র বিনিময়যা পরিণত হয়েছিল দীর্ঘ মিতালিতে।বয়ঃসন্ধিকালে রবি খুজে পেল তাঁর দোসর রুপেকাদম্বরীর বৌঠানকে। কাদম্বরী সম্পর্কে কবিরউক্তিতে পাওয়া যায়“সেই জানালার ধারটি মনেপড়ে, সেই বাগানের গাছগুলি মনে পড়ে, সেই অশ্রুজলে সিক্ত আমার প্রাণের ভাবগুলিকে মনেপড়ে । আর একজন যে আমার পাশে দাঁড়াইয়াছিল, তাহাকে মনে পড়ে, সে যে আমার খাতায়আমার কবিতার পার্শ্বে হিজিবিজি কাটিয়াদিয়াছিল, সেইটে দেখিয়া আমার চোখে জলআসে। সেই ত যথার্থ কবিতা লিখিয়াছিল ।তাহার সে অর্থপূর্ণ হিজিবিজি ছাপা হইল না ,আর আমার রচিত গোটাকতক অর্থহীনহিজিবিজি ছাপা হইয়া গেল।” কাদম্বরীরবিষপান তাড়িয়ে বেড়িয়েছিল কবিকে।
রবি জীবনে হাওয়া দিয়েছিল সাগরপারের।অনন্তের। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো। রবীন্দ্রনাথেরগীতঞ্জলীর অনুবাদ পড়ে তখন স্তব্ধ ভিক্টোরিয়া ।
রবি ও ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর আলোচনা এলেইদৃশ্যপটে এসে যায় আর্জেন্টিনার প্লাতা নদী। যেনদীটির তীর ঘেঁষে বিশ্বকবির সঙ্গী হয়ে পথচলছেন বিদেশিনী ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো, কবিনিজে তাঁর জন্য কবিতা পড়তেন।
Photograph by- নিজস্ব প্রতিনিধি
Facebook Comments