কালিয়াগঞ্জে নাবালিকা খুনের মামলায় সিট গঠন করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সিটের সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তকে। নিয়ম অনুযায়ী অবসর নেওয়ার পর তাঁর একজন করে নিরাপত্তারক্ষী পাওয়ার কথা। সেই মতো তাঁর একজন নিরাপত্তা রক্ষী ছিল। কিন্তু কিছু দিন আগে সেই নিরাপত্তারক্ষী ফিরিয়ে নেয় রাজ্য সরকার। আদালতের দ্বারস্থ হন পঙ্কজ দত্ত। বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তাঁর নিরাপত্তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি মান্থার একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রেখেছ। বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ১৫ মে-র মধ্যে আইপিএস পঙ্কজ দত্তের নিরাপত্তা অবিলম্বে রাজ্যকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আদালতে প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তের বক্তব্য, যেহেতু তিনি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজ্য সরকারের নীতির সমালোচনা করেন, তাই তাঁর নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে রাজ্য পুলিশের আইজি পদ থেকে অবসর নেন পঙ্কজ দত্ত। হঠাৎ-ই কিছুদিন আগে তাঁর নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি মান্থা এই মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন,’যদি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তা হলে তা সব অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকের ক্ষেত্রেই তা হওয়া উচিত।’ রাজ্য প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে গেলে, বৃহস্পতিবার একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল আদালত।
(পড়তে পারেন। কালিয়াগঞ্জে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ করে খুনের’ মামলায় ৩ সদস্যের SIT গঠন করল আদালত)
আদালতের এই নির্দেশ শোনার পর পঙ্কজ দত্ত সাংবাদমাধ্যমে বলেন,’কিছু না জানিয়ে অবৈধ ভাবে আমার নিরাপত্তা নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়। পুলিশের কাছে এ নিয়ে জানতে চাই। কিন্তু কোনও উত্তর না পেয়ে আমি আদালতে যাই। আদালত বলা সত্ত্বেও ওরা নিরাপত্তা ফেরায়নি রাজ্য সরকার। উল্টে তারা ডিভিশন বেঞ্চে চলে যায়। প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়েছেন। রাজ্য সরকারের লজ্জা পাওয়া উচিত।’
Facebook Comments