নূপুর শর্মার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে একদিকে ইসলামি দেশগুলো ভারত বয়কটের ডাক দিয়েছে, একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ শুরু করেছে অসংখ্য মানুষ। বর্তমানে সেই আগুন বাংলায় পৌঁছেছে। জনতার প্রতিবাদের মধ্যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে এবং এমন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরো ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেছেন।
আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমরা চাইলে তাদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করব না। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করুন।” হাওড়ায়, বিজেপির বরখাস্ত মুখপাত্র নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ করেছে। NH-116-এ অঙ্কুরহাটির কাছে এই বিক্ষোভ হয়েছিল। যার জেরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।বিক্ষুব্ধ মানুষ NH-116-এ অগ্নিসংযোগ ও হট্টগোলও করে। সকাল 10টা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভের সাথে জড়িত নেতারা হিংসাত্মক পদক্ষেপ নেন এবং নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন। লোকজন তাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবী জানায়। নূপুরের কঠোর শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন উপস্থিত জনতা।
বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বাংলায় শান্তির পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু সেই শান্তি বজায় রাখতে চান না অনেকেই। তাই বিভিন্নভাবে তারা অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। বিজেপি মানুষকে উস্কে দিচ্ছে।” এরপর তিনি অবরোধকারীদের উদ্দেশে বলেন, “আপনারা যে রাস্তা অবরোধ করছেন, তার ফল মানুষ ভোগ করছে। সকাল না হতেই বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণ হট্টগোল থেকে শুরু করে যাতায়াতের সমস্যায় পড়ছে। পুলিশ অবরোধকারীদের টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু আমরা তা করব না। আমরা হাত মেলাচ্ছি, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করুন এবং অবরোধ তুলে নিন।”
পরে বিজেপিকে অভিযুক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি যেভাবে দুই বিজেপি নেতা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, বাংলায় থাকলে তাদের গ্রেফতার করতাম। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’
Facebook Comments