যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা রাজ্যে। ইতিমধ্যেই ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন এবং ৩৪ ধারায় সম্মিলিত অপরাধের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এবার ধৃতদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি র্যাগিং আইনেও মামলার আবেদন করবে তদন্তকারীরা।
জানা গিয়েছে, ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘ র্যাগিং ইন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট, ২০০০’ অর্থাৎ, অ্যান্টি র্যাগিং আইনে মামলা রুজুর আবেদন করা হবে। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে ধৃত দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষ এবং সৌরভ চৌধুরীকে হাজির করানো হবে। ওই শুনানি চলাকালীনই ধৃতদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি র্যাগিং আইনে মামলার আবেদন করবে পুলিশ।
র্যাগিংয়ের কারণে যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়েই তদন্ত এগোচ্ছে পুলিশ। ছাত্র মৃত্যুর পর প্রথম থেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি হস্টেল থেকে একটি হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি উদ্ধার হয়েছে। পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, ওই হাফ প্যান্ট এবং গেঞ্জি মৃত পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রের খবর, পড়ুয়াকে বাধ্য করা হয় গালিগালাজ করতে। বিভিন্ন ঘরে ঢুকিয়ে পরিচয়ের নামে চলতে থাকে অত্যাচার। হস্টেল থেকে তথ্যপ্রমাণ মেলার পরই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিং-বিরোধী ধারা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। র্যাগিং-বিরোধী ধারায় বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে বা বাইরে র্যাগিংয়ে অংশ নেয়, ব়্যাগিংয়ে কোনও রকমের বা সাহায্য করে, তাকে দোষী বলে গণ্য করা হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা, ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে।
মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, র্যাগিংয়ের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হস্টেলের বর্তমানও প্রাক্তনী মিলে ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এদিন আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছে যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্তকে। আদালতে ঢোকার মুখে সৌরভ দাবি করেন, সে নির্দোষ। আমরা কোনও অপরাধী নই। বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্টেলে কোনও র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ওই ছাত্র নিজেই বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেয়। তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৃত্যু মামলা : ধৃতদের বিরুদ্ধে অ্যান্টি র্যাগিং আইনে মামলা

Facebook Comments