রাজ্য- রাজ্যপাল সংঘাত শীর্ষে। এবারে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার এই বিষয়ে তিনি একটি আদেশ জারি করেন। রাজ্যপাল বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ১৭৪ অনুচ্ছেদের অধীনে, রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
রাজ্যপাল ট্যুইট করে আদেশটি জানিয়েছেন। রাজ্যপালের এই নির্দেশ ঘিরে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন। এই আদেশের অর্থ হল, এখন রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন ডাকা যাবে না।
WB Guv:
In exercise of the powers conferred upon me by sub-clause (a) of clause (2) of article 174 of the Constitution, I, Jagdeep Dhankhar, Governor of the State of West Bengal, hereby prorogue the West Bengal Legislative Assembly with effect from 12 February, 2022. pic.twitter.com/dtdHMivIup
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) February 12, 2022
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন সাইন ডাই চলছে। অর্থাত্, বিধানসভার স্পিকার রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বিধানসভার কার্যক্রম শুরু করতে পারেন, কিন্তু রাজ্যপালের বিধানসভা মুলতবি ঘোষণার পর, স্পিকার রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া বিধানসভার কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন না।
আগামী মাসে পশ্চিমবঙ্গের বাজেট অধিবেশন ডাকা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে বাজেট অধিবেশনের আগে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করার রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিধানসভা সূত্র বলছে যে, বিধানসভার কার্যধারার পরে, বিধানসভার অধিবেশন সাধারণত স্থগিত করা হয়, তবে এই প্রথম রাজ্যপাল প্রকাশ্যে একটি বিবৃতি জারি করেছেন এবং অবিলম্বে বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের ভাষণ দিয়েই বাজেট অধিবেশন শুরু হয়।
সিনিয়র অ্যাডভোকেট অরুণাভ ঘোষ বলেন, ১৭৪ ধারা অনুসারে, রাজ্যপালের বিধানসভার কার্যক্রম স্থগিত করার অধিকার রয়েছে। এ জন্য মন্ত্রিসভার পরামর্শের প্রয়োজন হবে না। এখন রাজ্যপালের অনুমতি ছাড়া বিধানসভার অধিবেশন ডাকা যাবে না। রাজ্যপালের অনুমতির জন্য যদি বিধানসভার বৈঠক ডাকতে হয়, তাহলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তবে অনেক এও বলছেন, মন্ত্রিসভার অনুমতি নিয়েই কাজ করতে হবে রাজ্যপালকে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়া রাজ্যপাল এ ধরনের নির্দেশ দিতে পারেন না।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, বিধানসভা শুরু বা স্থগিত হওয়ার পরে এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সংসদীয় মন্ত্রীই এই বিষয়ে রাজ্যপালকে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার পরেই রাজ্যপাল এই বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছেন, তবে তাঁর সমস্যা হল যে তিনি প্রতিটি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে ট্যুইট করেন এবং তা প্রকাশ করেন, যখন প্রশাসনিক বিষয়ে কিছুটা গোপনীয়তা থাকে।
Facebook Comments