রাজ্যে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ বার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের দফতরে চিঠি দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার এই খবর জানা গিয়েছে। কোন পুরসভায় কত নিয়োগ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশন এবং পুর নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিয়েছে ইডি। পুর নগরোন্নয়ন দফতর রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের হাতে। তাই এ বার পুরমন্ত্রীর দফতরে এই দুর্নীতির তদন্তে চিঠি পাঠাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানতে চাওয়া হয়েছে, গত ৮ বছরে কীভাবে নিয়োগ হয়েছে পুরসভাগুলিতে? কারা নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে? সূত্রের খবর, দুই দফতরের রিপোর্ট পেলে হুগলির ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিস থেকে প্রাপ্ত তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছিল ইডি। ওই অফিস থেকে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট (উত্তরপত্র) পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তদন্তকারীরা। ইডি মনে করছে, অয়নের সংস্থা যে সব উত্তরপত্রের মূল্যায়ন করেছে, সে সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে।
কাঁচরাপাড়া, টাকি, দক্ষিণ দমদম, হালিশহর, বরাহনগর-সহ বহু পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অয়ন জড়িত ছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ১০০০ জন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে অয়ন ৪৫ কোটি টাকা তুলেছেন বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি।
পুর নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে অয়ন ৩৫-৪০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে ইডি সূত্রে খবর। বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে।
Facebook Comments