সোমবার সকালে বীরভূমের ‘শিবশম্ভু রাইস মিল’-এ হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাইস মিলের আধিকারিকদের জেরা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতের আত্মীয় রাজা ঘোষের এই মিলের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ‘শিবশম্ভু’ রাইস মিলটি ভুবনডাঙ্গা সুকান্তপল্লী এলাকায় বোলপুরের জাম্বুনী যাওয়ার রাস্তায় প্রায় 10-12 বিঘা জমিতে অবস্থিত। গত সপ্তাহে ‘ভোলে বোমা’ চালকের জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। ওই চালকের জায়গা থেকে দামি গাড়ি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
পরে, অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে বলেছিলেন যে ‘কেষ্ট’ (অনুব্রত মণ্ডল) তার শ্বশুরের কাছ থেকে উপহার হিসাবে রাইস মিলটি পেয়েছিলেন। উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার মামলায় 24 আগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন।
এরপর বীরভূমের আরেকটি রাইস মিলে অভিযান চালায় সিবিআই। সোমবার সকালে বোলপুরের ‘শিব শম্ভু’ রাইস মিলে হানা দেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তারা মিলের ভেতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তে যা কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। বীরভূম তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের টাকা রাইস মিলে পাঠানো হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের পাশাপাশি ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও রয়েছেন।
অনুব্রতের নামে বা বেনামে কী সম্পত্তি রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এই সব রাইস মিল সরাসরি অনুব্রত মণ্ডলের নামে না থাকলেও অনুব্রত মণ্ডলের নামে সিবিআইয়ের সঙ্গে অংশীদারিত্বের তথ্য পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতেই এই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। যদিও বীরভূম রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নথিতে কমল কান্তি ঘোষকে এই মিলের মালিক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, এই কমল কান্তি ঘোষ অনুব্রত মণ্ডলের বোন শিবানী ঘোষের স্বামী হলেও কমল কান্তি নিজেই বলেছেন, তার কোনও রাইস মিল নেই। তাহলে এই মিলের প্রকৃত মালিক কে? এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয় রাজা মণ্ডলকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ওই রাইস মিল আমার বাবার নামে, এই প্রথম শুনলাম। বাবার সঙ্গে আমার দুই বছর কোনও সম্পর্ক নেই। আমি কিছুই জানি না। গিয়ে বাবার সাথে কথা বলুন।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবী, গত কয়েকদিন ধরে এই রাইস মিলটি বন্ধ রয়েছে।
Facebook Comments