সিএবি নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, আসাম থেকে শুরু করে উত্তরপূর্বাঞ্চল হয়ে তার আঁচ পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সিএবি ও এনআরসি মোকাবিলায় রণকৌশল ঠিক করতে আগামী ২০ ডিসেম্বর জরুরি বৈঠক ডেকেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সব নেতানেত্রী, সংসদ সদস্য ও জেলা সভাপতিদের ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এনআরসি থেকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে রক্ষা করতে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে বারবার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। সিএবি ও এনআরসি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভের ঘটনাতেও উদ্বিগ্ন মমতা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনকে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে এনারসি ও সিএবি নিয়ে বিজেপি যখন লক্ষ্য পূরণের উল্লাসে মেতেছে, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, বীরভূমসহ রাজ্যের লাখ লাখ মানুষ তখন আতঙ্কে রয়েছে। অনেকেই বিক্ষোভ প্রদর্শনে রাজপথে নেমে পড়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এনআরসি ও সিএববির প্রতিবাদে পশ্চিম মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলায় অনেক বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের স্লোগান ছিল ‘কালা আইন মানছি না, মানব না’।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয় বিক্ষোভ ও মিছিল। এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভকে ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় বীরভূম জেলায়। বীরভূমের মুরারই স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় ট্রেন আটকা পড়ে। পরে সেখানে প্রতীকী বিল পুড়িয়ে প্রতিবাদ শেষ হয়।
এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জের বরজ থেকে জাতীয় সড়ক ধরে মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা। এসময় অমিত শাহের কুশপুতুল পোড়ানো হয়। বিক্ষোভের ফলে সড়কে আটকে পড়ে বিপুল যানবাহন।
এছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারের জাতীয় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে এনআরসির প্রতিবাদে বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে এক সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
ছবি সংগৃহিত
Facebook Comments